
সংসদের বাদল অধিবেশনেই বিল এনে কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জোরাল দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, কাশ্মীরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই প্রতিশ্রুতিপূরণ করা কেন্দ্রের কর্তব্য।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, ‘গত পাঁচ বছর কাশ্মীরবাসী লাগাতার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি জানিয়ে আসছে। অতীতে একাধিকবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে রাজ্যের মর্যাদায় উন্নীত করার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু এভাবে একটি পূর্ণরাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার উদাহরণ নেই।” রাহুল মনে করিয়েছেন, মোদি সরকারই সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেছিল যে দ্রুত কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে। কিন্তু সরকার কোনও পদক্ষেপই করছে না।
বিরোধী দলনেতা মেনে নিয়েছেন, পহেলগাঁও হামলা কাশ্মীরবাসীর বৈধ দাবিকে ধাক্কা দিয়েছে। পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর লড়াই ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু এবার বাদল অধিবেশনেই ফের বিল এনে কাশ্মীরকে হৃত মর্যাদা ফেরানো হোক। একই সঙ্গে লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তবে সরকারি সূত্রের খবর, রাহুলের দুই দাবির কোনওটিই মানা হবে না বাদল অধিবেশনে।
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেয় কেন্দ্র। ৩৭০ নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা হারানো নিয়েও। সেই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টাও করেছে বিজেপি। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে উপত্যকায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।