
কাশ্মীর এবং দিল্লির বেশ কয়েকটি স্কুল সীমান্ত এলাকায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে তাদের শিক্ষাদান কার্যক্রম অনলাইনে স্থানান্তরিত করেছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত স্কুলগুলি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দিল্লি থেকেও কিছু স্কুল অনলাইনে ক্লাস শুরু করার খবর পাওয়া গেছে, যদিও এর পেছনের নির্দিষ্ট কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে সীমান্ত পরিস্থিতির দিকে আমরা closely নজর রাখছি। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার, এবং সেই কারণে সীমান্তবর্তী এলাকার স্কুলগুলিকে আপাতত অনলাইন মোডে ক্লাস পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
দিল্লির ক্ষেত্রে, বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল অভিভাবকদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে যে অবিলম্বে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে। একটি স্কুলের অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে চাই। যদিও দিল্লিতে কোনো সরাসরি হুমকির খবর নেই, তবুও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমরা এই precautionary measure নিয়েছি।”
এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পঠন-পাঠনে সাময়িক ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষাবিদরা আশা করছেন যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষাদান অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি কম হবে। অনেক অভিভাবক স্কুলগুলোর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই স্কুলগুলিতে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন পুনরায় শুরু করা সম্ভব হবে। তবে আপাতত, কাশ্মীর এবং দিল্লির কিছু স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।