
মণিপুরের একটি জেলা আদালত নাবালক অপহরণের মামলায় ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ইচ্ছাকৃতভাবে এক নাবালককে অপহরণ করে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে, যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ ধারার আওতায় গুরুতর অপরাধ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, যখন ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় থানা। তদন্তে উঠে আসে, অভিযুক্ত যুবক কিশোরটিকে প্রলোভন দেখিয়ে একটি দূরবর্তী এলাকায় নিয়ে যায় এবং সেখানে কয়েকদিন আটকে রাখে।
পুলিশ অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে এবং নাবালককে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষ ৯ জন সাক্ষী পেশ করে এবং মেডিকেল ও ডিজিটাল প্রমাণ উপস্থাপন করে। বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বলেন, “নাবালকের নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতা রক্ষায় আদালত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।”
আদালতের রায়
সাজা: ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড,জরিমানা: ₹২৫,০০০, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড,ক্ষতিপূরণ: জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে নাবালকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়
এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে শিশু সুরক্ষা সংস্থাগুলি। মণিপুর চাইল্ড রাইটস ফোরামের সভাপতি বলেন, “এই রায় সমাজে একটি শক্ত বার্তা দেবে যে শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনও স্থান নেই।”
এই মামলাটি আবারও তুলে ধরেছে নাবালকদের সুরক্ষায় সচেতনতা ও দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা। প্রশাসন জানিয়েছে, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্কুল ও অভিভাবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হবে।