
চা উৎপাদনে প্রায় ৩০ শতাংশ হ্রাসের মুখে পড়ে আসামের ক্ষুদ্র চা চাষিরা সরকারের কাছে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) ₹২৫ প্রতি কেজি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। জোরহাট জেলার ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ প্রসাদ শর্মা জানান, উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও সবুজ পাতার দাম স্থবির, ফলে চাষিরা ₹১৮–₹২২ প্রতি কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
জোরহাটে জেলা মনিটরিং কমিটির বৈঠকে কারখানা মালিক, শিল্প প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সবুজ পাতার দাম ₹২৫/কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে, যদিও কিছু শর্ত প্রযোজ্য। চাষিরা দাবি করেছেন, ধান কেনার মতো চা পাতার ক্ষেত্রেও MSP চালু হলে তা চাষিদের জীবিকা রক্ষায় সহায়ক হবে।
চাষিরা আরও অভিযোগ করেছেন, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশ থেকে নিম্নমানের সবুজ পাতা আসার ফলে আসামের বাজারে প্রভাব পড়ছে। তারা এমন পাতার জন্য পৃথক কারখানা ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেচের অভাবকে চা উৎপাদন হ্রাসের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন কৃষ্ণ শর্মা। সমিতির সহ-সভাপতি দিগন্ত প্রদীপ নিয়োগ বলেন, “আমরা চা শিল্পে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছি, কিন্তু ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।”
এই পরিস্থিতিতে চাষিরা MSP বাস্তবায়নের জন্য সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে আসামের চা শিল্প এবং লক্ষাধিক চাষির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকে।