
রোদ হোক বা বৃষ্টি—ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন এখন একেবারে অপরিহার্য। ড্রেসিং টেবিলে ময়েশ্চারাইজার বা ফাউন্ডেশন না থাকলেও, একটা ভালো সানস্ক্রিন কিন্তু আজকাল অনেকের প্রথম পছন্দ। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে তপ্ত রোদ আর ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির (UV Ray) হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এই প্রসাধনীর উপরেই ভরসা রাখেন অধিকাংশ নারী।
চিকিৎসকেরাও বলছেন, সানস্ক্রিন শুধু রোদে বেরোনোর আগে নয়, বরং ঘরে থাকলেও প্রতিদিন ব্যবহার করা উচিত। এমনকি রান্নাঘরে আগুনের তাপ থেকেও ত্বককে রক্ষা করতে রান্নার আগেও সানস্ক্রিন মাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে সমস্যা হয় তখনই, যখন নিজের ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক সানস্ক্রিন বেছে না নেওয়া হয়। বাজারে নামীদামি ব্র্যান্ডের ভিড়ে মেয়েরা প্রায়শই বিভ্রান্ত হন। ভুল সানস্ক্রিন ব্যবহারে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা—ব্রণ, অ্যালার্জি, ত্বকের শুষ্কতা থেকে শুরু করে চোখের জ্বালা পর্যন্ত।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ভুল সানস্ক্রিন বাছাই থেকে হতে পারে সমস্যা:
১. তৈলাক্ত ত্বকে জেল বেসড সানস্ক্রিন সেরা: যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের জন্য ক্রিম বা হেভি টেক্সচারের সানস্ক্রিন নয়—বরং হালকা জেল বেসড সানস্ক্রিনই উপযুক্ত। তেলতেলে প্রসাধনী মুখে ব্রণ বাড়াতে পারে।
২. চোখে গেলে হতে পারে জ্বালা ও অস্বস্তি: সানস্ক্রিন লাগানোর সময় অনেকেই অসাবধানতাবশত চোখে লাগিয়ে ফেলেন। এতে চোখে তীব্র জ্বালা ও অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। ঘামের সঙ্গে গলে গিয়ে সানস্ক্রিন চোখে প্রবেশ করলেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চোখের চারপাশে সতর্কভাবে ব্যবহার করুন।
৩. শুষ্ক ত্বকে অ্যালকোহল যুক্ত সানস্ক্রিন নয়: অনেক সানস্ক্রিনে থাকে অ্যালকোহল, যা ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। শুষ্ক ত্বকের মানুষদের জন্য এটি মোটেই উপযুক্ত নয়। তাঁদের উচিত অ্যালকোহল-মুক্ত সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া।
৪. সেন্সিটিভ ত্বকে রাসায়নিক সংবেদন: অক্সিবেনজোন বা অ্যাভোবেনজোন—এই দুটি রাসায়নিক অনেক সানস্ক্রিনে থাকে, যা সেন্সিটিভ ত্বকে অ্যালার্জি বা র্যাশের কারণ হতে পারে। তাই যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁদের এই উপাদান ছাড়া সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে চোখ বুজে যে কোনও ব্র্যান্ড বা ফর্মুলা ব্যবহার না করে, নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক সানস্ক্রিন বেছে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। কারণ, সৌন্দর্যের শুরু কিন্তু স্বাস্থ্যবান ত্বক থেকেই।