আর.জি কর কাণ্ডে উত্তাল সারা দেশ, এই ঘটনার প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও। অভিযুক্তদের ‘ফাঁসি’র দাবিও যখন জোরালো হচ্ছে, তখন কিশোরী হেতাল পারেখ ধর্ষণ মামলা নতুন করে চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন বাঁকুড়ার ছাতনা এলাকার মানুষের একাংশ। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের ৫ মার্চ ১৪ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী হেতাল পারেখকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। পরে ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দীর্ঘ ১৪ বছর কারাবাসের পর ২০০৪ সালের ১৪ অগাস্ট ফাঁসি হয় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের।
ঘটনাচক্রে ধনঞ্জয়ের বাড়ি ছাতনার কুলডিহি গ্রামে। ধনঞ্জয়ের চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বর্তমানে শ্বশুর বাড়ি কুলুডিহি গ্রামে থাকেননা। প্রকাশ্যে সেভাবে তাকে আর দেখাও যায়না বলে খবর। ধনঞ্জয়ের পরিবারের বর্তমান সদস্যরা কেউই সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজী নন। তবে গ্রামবাসী, পাড়া প্রতিবেশীদের একাংশ এখনো ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে ‘দোষী’ মানতে রাজী নন। প্রতিবেশী মন্টু বাউরী বলেন, এলাকায় ‘পরোপকারী’ হিসেবেই পরিচিত ছিল তার। প্রথম জীবনে গৃহশিক্ষতা করতো, তারপর যে কি হয়ে গেল! তবে আমরা এখনো বিশ্বাস করতে পারিনি সে এই ধরণের কাজ করতে পারে। সত্য উদঘাটনে ওই মামলা পুনরায় চালু করা উচিৎ। একই সঙ্গে ধনঞ্জয়ের ঘটনার পূনরাবৃত্তি আর.জি কর কাণ্ডে যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি জানান।
ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ও ছাতনা এলাকার বাসিন্দা জীবন চক্রবর্ত্তী বলেন, ওই মামলা পূণরায় চালুর দাবিতে আমরা লাগাতার আন্দোলন করছি। বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর.জি করের ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। বর্তমান সময়ে সিভিক ভল্যান্টিয়ার সঞ্জয়ের ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে ধনঞ্জয়কে। এই মুহূর্তে যা তথ্য পাওয়া গেছে তাতে একজন সঞ্জয়ের পক্ষে ওই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। আর.জি করের ঘটনায় ওই সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে, যা যথেষ্ট নিন্দনীয় বলে তিনি দাবি করেন।