November 21, 2024

পেটের টানে কাজ করতে গিয়েছিলেন ভিন রাজ্য রাজস্থানে আর সেখানেই বাংলার একজন পরিযায়ী শ্রমিককে কয়েকজন মিলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের, সহকর্মীদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি,চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের, ঘটনার খবর পেয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে, শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রাম জুড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম মতি,বয়স ৪০ বছর,তার বাড়ি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের মিস্কিনপুর গ্রামে। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার রয়েছে স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান। বাড়ির একমাত্র উপার্জন কারীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাজস্থানের জয়পুরে একটি সোনার দোকানে ২০ বছর ধরেই কাজ করতেন। তবে ছুটি নিয়ে ৫ মাস আগে বাড়ি এসেছিল,তারপর সে আবার সোনার দোকনে কাজে যোগদান করে। গত আগস্ট মাসের ২৮ তারিখে দোকানের খাওয়ার রুমে ওই পরিযায়ী শ্রমিককে কয়েকজন মিলে মারধর করে বলে অভিযোগ পরিবারের। সহকর্মীদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার দিন সকালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী রৌশনা খাতুন বলেন, একমাত্র আয়ের উৎস ছিল স্বামী।আজ আর সে নেই, ছোটো ছোটো দুই ছেলেকে নিয়ে কিভাবে চলবে সংসার। সরকারের কাছে আবেদন করছি আমার স্বামীকে যারা মারধর করেছে হত্যা করেছে,তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য আবেদন করছি।

মিসকিনপুর গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এর প্রতিনিধি খাইরুল আলম বলেন, দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে রাজস্থানে জয়পুরে এক সোনার দোকানে কাজ করতেন মতি, খাওয়ার রুমে মতিকে মারধর করে বলে শুনতে পায় আমরা। তারপর ওইখানে থাকা আমাদের গ্রামের শ্রমিকেরা মিলে মতিকে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে,ওই পরিবারের সাথে দেখা করতে যান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন। তিনি বলেন একের পর এক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তবে
আমরা ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে রয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *