
নিউ ইয়র্কভিত্তিক শিল্পী নোভা ব্রনস্টেইন সম্প্রতি তাঁর প্রথম সায়ানোটাইপ শিল্প প্রদর্শনী “An Elegy in Blues”-এর মাধ্যমে শিল্পজগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। এই প্রদর্শনীতে চার বছরের সৃষ্টিশীল যাত্রার ফলস্বরূপ ত্রিশটি সোলার সায়ানোটাইপ কাজ প্রদর্শিত হয়েছে, যা ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা ও প্রিন্টমেকিং-এর সীমারেখা মুছে দিয়ে এক স্বপ্নময়, আবেগঘন অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে।
সায়ানোটাইপ, যা ১৮৪২ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল, একটি অ্যালকেমিক, বিষমুক্ত প্রক্রিয়া, যেখানে দুটি লৌহ লবণের বিক্রিয়ায় কাগজ বা কাপড়ে প্রুশিয়ান ব্লু রঙের স্থায়ী ছাপ তৈরি হয়। ব্রনস্টেইন এই প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে জাপানি ক্যালিগ্রাফির ব্রাশস্ট্রোকের মতো ‘জেসচার’ অ্যাপ্লিকেশন-এর মাধ্যমে প্রতিটি শিল্পকর্মে একক অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলেছেন।
প্রদর্শনীর কাজগুলিতে দেখা যায়:
- মেটাল ও টেক্সটাইলের গঠন ও টেক্সচারের প্রভাব, যা তাঁর পূর্ববর্তী শিল্পচর্চার অংশ।
- ছায়া ও সিলুয়েটের বিকৃতি, যা সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী প্রতিটি ছবিকে আলাদা করে তোলে।
- পূর্ব ও পশ্চিমের সাংস্কৃতিক মিশ্রণ, যেমন লিসবনের ঐতিহাসিক Miradoura Sophia-এর নীল-সাদা টাইলস, নয়দার একটি বাগান, মেহেন্দি-সজ্জিত হাত ও রাখি বাঁধার দৃশ্য।
নোভা ব্রনস্টেইন ভারতের সঙ্গে গভীর সম্পর্কযুক্ত একজন শিল্পী, যিনি মার্কিন ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং নিউ ইয়র্কের Museum of Art and Design-এ রেসিডেন্ট শিল্পী ও শিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
এই প্রদর্শনী শুধু একটি শিল্প অভিব্যক্তি নয়, বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক এলেজি, যা নীল রঙের ছায়ায় স্মৃতি, পরিচয় ও সংযোগের গল্প বলে। শিল্পবোদ্ধারা একে সায়ানোটাইপ শিল্পের পুনর্জাগরণ হিসেবে দেখছেন।