
শরীর সুস্থ রাখতে প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে অন্তত ৪ লিটার জল পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শুধু পরিমাণ মতো জল পান করাই শেষ কথা নয়, বরং কীভাবে জল পান করা হচ্ছে তার উপরেও উপকারিতা নির্ভর করে। তাই জল পান করার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
১) দ্রুত জলপান করা : জল পিপাসা পেলে অনেকেই দ্রুত জল পান করেন। কিন্তু এর ফলে দেহে তখন সায়মিক ঝটকা তৈরি হয়। সেই কারণে জল পান করার সময় মুখের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তা রেখে তারপর গিলে নেওয়া উচিত।
২) গরম বনাম ঠান্ডা জল : সাধারণত পানীয় হিসেবে আমরা ঠান্ডা বা গরম জল পান করি। এর ফলে সেই জলকে শরীরের উপযুক্ত করে তুলতে দেহের উপর চাপ তৈরি হয়। তাই ঘরের তাপমাত্রায় রাখা জলই পান করা উচিত।
৩) খাবারের সঙ্গে জল : অনেকেই খাবার খাওয়ার সময়েই জল পান করেন। কিন্তু খাবারের সঙ্গে জল পান করলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। তাই খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা পরে জল পান করা উচিত।
৪) জলের বোতল : অনেকেই প্লাস্টিকের জলের বোতল ব্যবহার করেন। কিন্তু এর ফলে শরীরে জলের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তাতে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। প্লাস্টিকের তুলনায় কাচ বা তামার বোতলে জল পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি উপকারী।
৫) তেষ্টা মেটানো : কেউ কেউ তেষ্টা পেলে একমাত্র তখনই জলপান করেন। তবে এই অভ্যাসের ফলে দেহে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই তেষ্টা না পেলেও কিছুক্ষণ পর পর জল পানের অভ্যাস করা উচিত।