
অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (APCC) বিজেপির বিরুদ্ধে আদিবাসী জমির অধিকার ও বেল্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। ১৪ আগস্ট গুয়াহাটিতে রাজীব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা যাদব স্বর্গিয়ারি বলেন, “বিজেপি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে প্রান্তিক করতে চায়। তারা ষষ্ঠ তফসিল ও ট্রাইবেল বেল্ট/ব্লক ব্যবস্থাকে একসঙ্গে সহাবস্থান করতে না দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।”
এই অভিযোগের সূত্রপাত বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ শইকিয়ার মন্তব্য থেকে, যেখানে তিনি বলেন, “বিটিসি অঞ্চলে দুটি আইন একসঙ্গে চলতে পারে না।” কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি যদি বিটিসি নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে ডিব্রুগড়, শিবসাগরসহ অন্যান্য অঞ্চলের অ-আদিবাসী মানুষ বিটিসি অঞ্চলে জমি কিনতে পারবেন—যা আদিবাসী অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলবে।
স্বর্গিয়ারি আরও অভিযোগ করেন, “গোলপাড়ায় এপিডিসিএল চেয়ারম্যান ডঃ প্রকাশ কাশ্যপ এবং লক্ষীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজেশ গুপ্তা রবহা জনগোষ্ঠীর জমি নিজেদের নামে হস্তান্তর করেছেন। চায়গাঁও স্যাটেলাইট টাউনশিপ প্রকল্পে ৮,৫০০ বিঘা জমি, যা ২,১০০ আদিবাসী পরিবারের, আদানিকে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।”
কংগ্রেস দাবি করেছে, ষষ্ঠ তফসিল অনুযায়ী কার্বি আংলং অঞ্চলে জমি কেনাবেচা নিষিদ্ধ, কিন্তু বিজেপি সরকার আদানি ও আম্বানি গ্রুপের বিনিয়োগের সুবিধার্থে এই নিয়ম লঙ্ঘন করছে। কংগ্রেস নেতা শৈলেন সোনোয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে আদিবাসীদের প্রতি শত্রুতামূলক মনোভাবের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে তারা আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করেছে।”
অসম প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভাপতি মীরা বোরঠাকুর বলেন, “এই সরকার শুধু গরু চোর নয়, জমি চোরও। সন্দেহজনক নাগরিকদের উচ্ছেদের নামে ৫৪,০০০ বিঘা আদিবাসী জমি আদানি ও আম্বানিকে নামমাত্র মূল্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
কংগ্রেসের দাবি, আদিবাসী জমির অধিকার রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।