শুক্রবার আসাম জুড়ে, কিংবদন্তি সাংস্কৃতিক প্রতীক কালাগুরু বিষ্ণু প্রসাদ রাভার ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা ও উৎসাহের সাথে বিষ্ণু রাভা দিবস পালিত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি কোকরাঝাড় এবং তেজপুরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কোকরাঝাড় জেলা প্রশাসন এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক বিভাগের যৌথ উদ্যোগে জেলার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একযোগে বিষ্ণু রাভা দিবস উদযাপন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিজ্ঞান কলেজ, কোকরাঝাড়, গার্লস কলেজ, বাউকুংরি, জনতা কলেজ, সেরফাঙ্গুরী, গুরুদেব কালীচরণ ব্রাহ্ম কলেজ, টিপকাই, এবং গোসাইগাঁও কলেজ, গোসাইগাঁও। নলবাড়িতে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় রাজ্য-স্তরের অনুষ্ঠান, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা উপস্থিত ছিলেন, সেটির সরাসরি সম্প্রচারও এই সকল স্থানে দেখানো হয়।
কোকরাঝাড়ের সায়েন্স কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বোড়োল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রাতুল ডেকা কালাগুরু বিষ্ণু প্রসাদ রাভার জীবন ও উত্তরাধিকার নিয়ে একটি জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখেন। তিনি রাভার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অবদানের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব তুলে ধরেন, যা তার মৃত্যুর পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পরেও প্রাসঙ্গিক। এই অনুষ্ঠানে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতো, জামুগুড়িহাটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনও উৎসাহের সাথে কালাগুরু বিষ্ণু প্রসাদ রাভার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে। টিএইচবি কলেজ, জামুগুড়ি এইচএসএস, পশ্চিম জামুগুড়ি এইচএস, পানপুর এইচএসএস, রাংগাচাকুওয়া এইচএসএস, উত্তর জামুগুড়ি এইচএসএস, টুপিয়া পাঁচগাঁও একাডেমি, ডেকোরাই এইচএসএস, নাগশঙ্কর এইচএস, দক্ষিণ নাগশঙ্কর এইচএস, চাতিয়া এইচএসএস, চৈত্যান্দ্র কলেজ, ক্ষেত্রী কলেজ এবং কাইতন্দ্র কলেজসহ বৃহত্তর নাদুয়ার এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এই দিনটি পালন করে। সুন্দরম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, নাতুন সাহিত্য পরিষদ, জামুগুড়ি আঞ্চলিক কমিটি এবং আসাম সাহিত্য সভা-এর জামুগুড়ি শাখাও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও বক্তৃতা সভার আয়োজন করে। স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য রাভা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।
