
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটকিপার ও বিশ্লেষক ইয়ান হিলি মনে করেন, সাম্প্রতিক টেস্ট ম্যাচগুলিতে দলের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা স্নায়ুচাপের কাছে বারবার ভেঙে পড়ছেন, যা দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটে মানসিক দৃঢ়তা অপরিহার্য। আমাদের টপ-অর্ডারকে শুধু টেকনিক্যালি নয়, মানসিকভাবেও আরও শক্তিশালী হতে হবে।”
হিলির এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন অস্ট্রেলিয়ার টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন। বিশেষ করে ওপেনার উসমান খাজা ও তিন নম্বরে ব্যাট করা মার্নাস লাবুশেন সাম্প্রতিক টেস্টে বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়ানো স্যাম কনস্টাস-কেও পরে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক সাবেক ক্রিকেটার।
হিলি মনে করেন, “টপ-অর্ডারে আমাদের এমন ব্যাটসম্যান দরকার যারা প্রথম ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ সামলে ইনিংস গড়ে তুলতে পারেন। শুধু প্রতিভা নয়, চাপের মুখে স্থির থাকা এবং পরিস্থিতি পড়ে খেলার ক্ষমতা জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটে স্নায়ুচাপের সঙ্গে লড়াই করাই আসল পরীক্ষা।”
তিনি নির্বাচকদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, বিশেষ করে কনস্টাসের বাদ পড়া নিয়ে। হিলির মতে, “একজন তরুণ খেলোয়াড় অভিষেকে সাহসী ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে সাহায্য করল, অথচ তাকে পরের সিরিজেই বাদ দেওয়া হলো। এতে আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লাগে এবং ভবিষ্যতের প্রতিভার বিকাশে বাধা সৃষ্টি হয়”।
অস্ট্রেলিয়া আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবে। হিলি আশা করছেন, নির্বাচকরা টপ-অর্ডারে স্থিতিশীলতা আনতে সাহসী সিদ্ধান্ত নেবেন এবং তরুণদের সুযোগ দেবেন। তিনি বলেন, “আমাদের এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। যারা মানসিকভাবে দৃঢ়, তাদেরই দলে জায়গা পাওয়া উচিত।”
এই মন্তব্য অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের ভবিষ্যৎ গঠনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে মানসিক দৃঢ়তা ও চাপ সামলানোর ক্ষমতা হয়ে উঠছে নির্বাচনের অন্যতম মানদণ্ড।