April 19, 2025
adit

আদৃত রায়ের ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ। জি বাংলার মিঠাই সিরিয়াল শেষ হয়েছে এক বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও পর্দায় ফেরেননি এই অভিনেতা। এসভিএফ প্রযোজিত পাগল প্রেমী সিনেমায় তাকে নায়ক হিসেবে দেখা যাবে বলে জানা গেছে। তবে ছবিটি মুক্তির বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এরই মধ্যে খবর আসছে, মাঝপথে থেমে গেছে পাগল প্রেমিকের কাজ। ভাবছেন এর কারণ কি? টলিপাড়ার অন্দরে কানাঘুষা বলছে প্রযোজকের সঙ্গে নায়কের বৈষম্যই এর জন্য দায়ী। অর্থাৎ এসভিএফ আর আদৃতের। তবে কোনো পক্ষই আপাতত মুখ খোলেনি। নূরজাহানের সঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করা আদৃত ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে ‘উচ্ছেবাবু’ চরিত্রে সাফল্য পান। আর ছোটপর্দায় এসে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে এবার সিরিয়াল শেষ করে আবারও বড় পর্দায় কামব্যাকের প্রস্তুতি নিলেন তিনি। কিন্তু সেটাও একটা বাধা।

পাগল প্রেমী ছবিটি পরিচালনা করেছেন অভিরূপ ঘোষ। ছবিতে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে মুনমুন রায়কে। এর আগে অভিরূপ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ছবির কয়েকটি শট ও গানের দৃশ্যের শুটিং বাকি রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ছবিটি মুক্তির পর বিয়ে করতে বলেছিল প্রযোজনা সংস্থা আদৃতকে। কিন্তু সেই কথা রাখেননি নায়ক। সেদিক থেকে এই অভিনেতার নারী ভক্তের সংখ্যা অপরিসীম। তাহলে কি, বিয়ের পর ফ্যান ফলোয়িং কমে যেতে পারে নির্মাতার ভয়? তবে শুধু বিয়ে নয়, সামনে আসছে আরও একটি কারণ। একই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে একটি হিন্দি সিরিয়ালেও অভিনয় করার কথা আদৃতের। আর সেই শুটিংয়ে তিনি মুম্বাইও গিয়েছিলেন। সেখানে শুটিং শেষ করে কাউকে না জানিয়ে কলকাতায় চলে আসেন। পাগলপ্রেমীর পরিচালক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। তার সাফ কথা, যা বলার তা প্রযোজনা সংস্থাই বলে দেবে।

মিঠাই সিরিয়ালে কাজ করতে গিয়েও সেই সিরিয়ালের নায়িকা কৌশাম্বি চক্রবর্তীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন আদৃত। এমনকি, সিরিয়ালের সহ-অভিনেতা কৌশাম্বী চক্রবর্তীর (যিনি আদৃতের অনস্ক্রিন বোনও ছিলেন) সাথে তার প্রেমের সম্পর্কও কম বিতর্কিত ছিল না। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে বিয়ে করেন কৌশাম্বী ও অদ্রিত। অনেক ধুমধাম করে চার হাত এক হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই প্রেমিক-প্রেমিকারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ‘উচ্চেবাবু’কে বড় পর্দায় দেখার জন্য তারা অধীর। এখন আসল চুক্তি কী তা জানতে একটু অপেক্ষা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *