
ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙনের কারণে বিশ্বনাথ ঘাটের অস্তিত্ব এখন সংকটে। নদীর আগ্রাসী স্রোতে কৃষিজমি, বাড়িঘর এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে প্রায় ৫,০০০ গ্রামবাসী চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন।
ইতিহাস থেকে নতুন বসতি, সবকিছুই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই ভাঙন বিশ্বনাথ ঘাট নদী পুলিশ স্টেশন, একাধিক মন্দির এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানকেও হুমকির মুখে ফেলেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
এক গ্রামবাসী জানান, “ভাঙন ক্রমশ বাড়ছে, কিন্তু কেউ এটি দেখতে আসেনি। আমাদের পূর্বপুরুষদের জমি এখন নেই, আমরা চাষাবাদ করতে পারি না। জানি না আগামীকাল আমাদের থাকার জায়গা থাকবে কিনা।” স্থানীয়রা বিধায়ক প্রমোদ বরঠাকুরের কাছে সাহায্য চেয়েছেন এবং নাবার্ডের একটি বাঁধ প্রকল্প অনুমোদনের খবর শুনেছেন। তাঁরা দাবি করছেন, অবিলম্বে বিশ্বনাথ ঘাট থেকেই বাঁধের কাজ শুরু হোক।
গ্রামবাসী ও নাগরিক গোষ্ঠীগুলো মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জরুরি হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা দ্রুত নদীর তীর রক্ষা এবং বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।