কেন্দ্রের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল ।তবে সোমবার কেন্দ্র জনগণনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়ল। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনশুমারি কমিশনার (আরজিসিসিআই) মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। পূর্বঘোষণা মতোই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৭ -এর ১ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে সে সময় হিমালয় ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা তুষারাবৃত থাকে। তাই সেসব এলাকাগুলিতে ২০২৬-এর অক্টোবর থেকে শুরু হবে জনগণনার কাজ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হওয়ার কথা। ভারতে ২০১১ সালে শেষ জনগণনা হয়েছিল । সেই অনুযায়ী ২০২১ সালে নতুন জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে সে সময় জনগণনা করা সম্ভব হয়নি। তখন থেকে আজ পর্যন্ত জনগণনার কাজ থমকেই ছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর পর অবশেষে আবার সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এটিই হবে প্রথম জনগণনা।
গত মাসেই কেন্দ্র জনগণনার সঙ্গে জাতগণনা করার কথাও ঘোষণা করেছিল । প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে জাত এবং জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত নানা তথ্য এ বারের জনগণনা থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৮ সালে জনগণনা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসতে পারে। রবিবার নয়াদিল্লিতে অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন, রেজিস্ট্রার জেনারেল মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণ-সহ বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং সেখানেই আসন্ন জনশুমারির প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন তিনি। সোমবার জনগণনা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দিল কেন্দ্র।
