আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে শিবসাগর জেলার ভাটিয়াপাড়ায় অবস্থিত একটি ওএনজিসি রিগ সাইটে ছয় দিন ধরে চলা গ্যাস লিকেজের ঘটনায় দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী শর্মা ‘এক্স’ (পূর্বে টুইটার)-এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমি বারিচুক গ্যাস বিস্ফোরণের বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী @HardeepSPuri জি-কে জানিয়েছি। পরিস্থিতির আরও অবনতি রোধ করার জন্য আমি @ONGC_-কে মিশন মোডে তাদের কূপ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শর্মা উল্লেখ করেন, ওএনজিসির বর্তমান প্রচেষ্টা—যেমন জল ঢেলে দেওয়া, উচ্চ পরিমাণে কাদা পাম্পিং এবং জাঙ্ক শট স্থাপন করা—সত্ত্বেও ক্ষতিগ্রস্ত কূপের চাপ বিপজ্জনকভাবে বেশি রয়েছে, যা নিকটবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি জনসাধারণের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে, ইতিমধ্যে ৩৩০টিরও বেশি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার এই পরিবারগুলিকে জরুরি ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
শর্মা ওএনজিসির প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে বলেছেন যে, জনসাধারণ কোম্পানির পদক্ষেপগুলিকে ধীর এবং জরুরিতার অভাব বলে মনে করছে। তিনি অতীতে একই ধরনের সংকটের সময় গৃহীত আরও আক্রমণাত্মক, যুদ্ধকালীন পদ্ধতির সঙ্গে এর তুলনা করেন। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে ওএনজিসির বর্তমান কৌশলটি অত্যধিক প্রক্রিয়াগত এবং দৃশ্যমানতার অভাব রয়েছে।
গত ১৬ জুন ক্ষতিগ্রস্ত কূপস্থল এবং ত্রাণ শিবির পরিদর্শনের পর, মুখ্যমন্ত্রী বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন যে তিনি তাদের উদ্বেগ আরও তুলে ধরবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে করা আবেদনে, তিনি ওএনজিসিকে ঘটনাস্থলে তাদের প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব শক্তিশালী করতে, আরও মনোযোগী ও সময়সীমাবদ্ধ পদ্ধতি গ্রহণ করতে এবং জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের সাথে আরও কার্যকরভাবে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
আসাম সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক ত্রাণ প্রদান অব্যাহত রাখলেও, শর্মা সংকট সমাধান এবং স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য ওএনজিসিকে আরও সক্রিয় ও স্বচ্ছ অবস্থান গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
