
করবি আংলং স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ (KAAC)-এর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ গুরুতর অভিযোগ তুলে তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছে কংগ্রেস। জমি চুক্তিতে অনিয়ম, সরকারি তহবিলের অপব্যবহার এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দলটি KAAC-এর বর্তমান প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
রবিবার দিপুতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির মুখপাত্র রকি বুল্লা বলেন, “KAAC-এর বর্তমান নেতৃত্ব জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করছে। জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনজাতির অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, যা ষষ্ঠ তফসিলের পরিপন্থী।”
তিনি আরও দাবি করেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত উন্নয়ন তহবিলের যথাযথ ব্যবহার হয়নি। “বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের হিসাব নেই, কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত হওয়া উচিত,” বলেন বুল্লা।
কংগ্রেসের অভিযোগ, KAAC-এর অধীনে জমি চুক্তিগুলি স্থানীয় জনজাতি সম্প্রদায়ের মতামত ছাড়াই সম্পাদিত হচ্ছে, যা সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ। দলটি দাবি করেছে, এই ধরনের চুক্তি বাতিল করে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
KAAC-এর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে পরিষদের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সব চুক্তি ও প্রকল্প সংবিধান ও আইন মেনেই সম্পাদিত হয়েছে। কংগ্রেস রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়ে তুলছে। কংগ্রেস এই ইস্যুকে সামনে রেখে জনমত গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে, অন্যদিকে KAAC প্রশাসন নিজেদের অবস্থান রক্ষায় ব্যস্ত।
পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করবে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জনগণের প্রতিক্রিয়ার উপর।