
আসামে আর্থিক প্রতারণার আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। ৭০ লক্ষ টাকারও বেশি প্রতারণার অভিযোগে হাফলংয়ের এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দম্পতি সন্তোষ দাস এবং তার স্ত্রী পম্পি দাস স্থানীয়দের কাছ থেকে ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ দ্বিগুণ’ করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিল।
পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, হাফলংয়ে একটি কাপড়ের দোকান চালাত সন্তোষ। সম্প্রতি সে তার সমস্ত জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ জাগে। শুক্রবার বিকেলে এই দম্পতি তাদের নিজ শহর ডোবোকায় পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশি তৎপরতায় তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হাফলং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনাটি আসামে ক্রমবর্ধমান আর্থিক কেলেঙ্কারির তালিকায় নতুন সংযোজন। এর আগে নগাঁওয়ের অনির্বাণ দেউরি ৪০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগের পর নিখোঁজ হয়ে যান। একইভাবে সুমি বোরাহ, তারিক বোরাহ, বিশাল ফুকন এবং ডিবি স্টকের দীপঙ্কর বর্মণের মতো ব্যক্তিরাও একই ধরনের প্রতারণার জন্য শিরোনামে এসেছিলেন। এই ঘটনাগুলি রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার এবং দ্রুত মুনাফার প্রলোভন এড়িয়ে চলার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।