
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়াম রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যারা দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন না, তাঁদের শরীরে প্রায়শই ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে চল্লিশ বছর পার হওয়ার পর এই সমস্যা আরও প্রকট হয়। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই ক্যালশিয়ামের সাপ্লিমেন্ট খেতে শুরু করেন, যা স্বাস্থ্যর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম গ্রহণের ফলে পেট ব্যথা, বমিভাব, অবসাদ এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম জমতে শুরু করলে কী কী ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে, তা জেনে নিন।
১) শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ ও হাড়ের ঘনত্ব মূল্যায়ন না করেই ইচ্ছেমতো সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত নয়। এতে কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। মাত্রাতিরিক্ত ক্যালশিয়াম সেবনের ফলে কিডনি বিকলও হতে পারে।
২) রক্তে ক্যালশিয়াম স্নায়ু সঙ্কেত আদান-প্রদান, হরমোন নিঃসরণ এবং পেশির সংকোচন-প্রসারণে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম পেশির স্বাভাবিক কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে।
৩) যারা নিয়মিত অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট খান, তাঁদের মধ্যে মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তাই ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজনে খেতেই হবে, তবে তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে।
৪) অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম গ্রহণের ফলে হাইপারক্যালসিমিয়া হতে পারে। এটি শরীরে অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যারা হৃদরোগ বা আয়রনের ওষুধ খান, তাঁদের জন্য সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে। এমন অবস্থায় হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, বমিভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
৫) শরীরে অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম জমলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। যাঁরা এমন সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।