
রেটিনা সেন্টার (টিআরসি) বিশিষ্ট চক্ষু সার্জন, ডাঃ অনামিকা নাথ এবং ডাঃ প্রনামী দাসকে নতুন সদস্য হিসাবে স্বাগত জানাতে পেরে উচ্ছ্বসিত। এই সংযোজনের সঙ্গে টিআরসি সাধারন মানুষের জন্য বিশেষ চোখের যত্ন (প্রিমিয়াম আই কেয়ার) ও উচ্চমানের চিকিত্সা প্রদানের লক্ষ্যে তার অঙ্গীকারকে দৃঢ়তর করল।
গুয়াহাটির রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি থেকে চক্ষুবিজ্ঞানে (অপথ্যালমলজি) এমএস ও একজন সুপরিচিত ভিট্রিও রেটিনা সার্জন ডাঃ অনামিকা নাথ অরবিন্দ চক্ষু হাসপাতালে তার যাত্রা শেষ করেছেন। তার পাশাপাশি, ডাঃ এস ইউ আহমেদ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভিট্রিও রেটিনাল সার্জারির ক্ষেত্রে একটি বিখ্যাত নাম। ডাঃ নাথ রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে তার জনহিতকর কর্মধারা অব্যাহত রেখেছেন এবং সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলগুলিতে চক্ষুর সুস্থতা বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তিনি হেলমেট ব্যবহার, রঙিন কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা, ইউভি সুরক্ষা এবং ধূমপান বন্ধের মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকেন।
আসাম মেডিকেল কলেজের এমএস প্রখ্যাত ফ্যাকো সার্জন ডাঃ প্রনামী দাস টিআরসি-তে চোখের ছানি বিষয়ে তার পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন। তার চিকিৎসা সংক্রান্ত দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি গুয়াহাটির উপকণ্ঠে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য চক্ষু পরীক্ষা শিবির পরিচালনা করেন। তিনি উত্তম খাদ্যাভ্যাস, স্ক্রিন টাইমে রাশ টানা এবং নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করে চোখকে সুস্থ রাখতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
দীর্ঘ স্ক্রিন ব্যস্ততার (স্ক্রিন এনগেজমেন্ট) কারণে ছানি পড়া, ডায়াবিটিস জনিত চোখের সমস্যা এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা ক্রমবর্ধমান হতে থাকায় ডাঃ নাথ ও ডাঃ দাস তাদের দক্ষতা সঙ্গে নিয়ে টিআরসি-কে শক্তিশালী করছেন। তারা চোখের সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধি করতে এবং দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি দূর করতে উন্নতমানের চিকিত্সা ও কার্যকর পরিচর্যার মাধ্যমে আসাম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগনের কাছে তাদের অবদান রেখে চলেছেন।