November 21, 2024

পানীয় জলের সমস্যা, হাতে গোনা কয়েকটি কল থাকলেও ঘোলা জল বের হচ্ছে। গ্রামে বসবাস করে জল বয়ে আনতে হচ্ছে শহর থেকে। বিশুদ্ধ জল না পেয়ে খুবই বিপাকে পরেছেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকান্দপল্লির কয়েকশো বাসিন্দা। জেলা প্রশাসনের দাবি, ওই এলাকায় পানীয় জলের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।
কল থাকলেও সেই কল থেকে আয়রন যুক্ত দুর্গন্ধ ঘোলা জল বের হচ্ছে। গ্রামবাসীর সুবিধার্থে কিছু জায়গায় বসানো হয়েছে গভীর টিউবওয়েল। সেই টিউবওয়েল থেকে পানের যোগ্য জল পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক কল কেউ বা কাহারা ভেঙে দিয়েছে। প্রায় কুড়ি বছর ধরে পানীয় জলের সমস্যা দাবি স্থানীয়দের। অনেকে ঘোলা জল বাড়িতে মজুত করে কৃত্রিম উপারে সেই জল কিছুটা পরিস্কার করে স্নান, রান্না ও জামা-কাপড় পরিস্কার করতে ব্যবহার করছেন। একাংশ বাসিন্দা সামর্থ্য থাকায় কেনা জল পান করছেন। অধিকাংশ বাসিন্দাদের সামর্থ্য না থাকায় বাধ্য হয়ে আয়রন যুক্ত জল পান করছেন বলে দাবি। সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে গ্রামের শিশুদের। ঘোলা জল খেয়ে অনেক শিশুর জলবাহিত রোগ হচ্ছে বলে দাবি।
গ্রামের বাসিন্দা মেনকা বিশ্বাস বলেন, “পানীয় জলের সমস্যা খুব। শহর থেকে পানীয় জল নিয়ে আসতে হচ্ছে।”
আরও এক বাসিন্দা ফুলমতি মাঝি বলেন, “পানীয় জল গ্রামের কল থেকে পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে অনেক দূর থেকে পুরসভার কল থেকে জল সংগ্রহ করে আনতে হচ্ছে”। জেলাশাসক সামা পারভিন বলেন, “ওই এলাকায় পানীয় জলের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৯০ শতাংশ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মিটে যাবে। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *