
কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — দুর্গাপূজা মানেই উৎসব, আলো, আনন্দ এবং অবশ্যই সুস্বাদু খাবার। কলকাতার রাস্তাঘাট, প্যান্ডেল এবং রেস্টুরেন্টগুলো এই সময়ে রঙিন হয়ে ওঠে, আর খাবারের তালিকায় থাকে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় পদ। বিশেষ করে নন-ভেজ খাবারের প্রতি বাঙালির আলাদা টান থাকায়, এই সময়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় মাংস ও মাছের নানা রকম পদ।
এই বছর দুর্গাপূজায় কলকাতার যেসব আইকনিক নন-ভেজ খাবার চেখে দেখা উচিত, তার মধ্যে অন্যতম হল “কষা মাংস”। ঘন ও মশলাদার এই পদটি লুচি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং এটি বহু পুরনো রেস্টুরেন্টের স্বাক্ষর পদ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া “চিংড়ি মালাইকারি” — নারকেল দুধে রান্না করা চিংড়ি — একটি রাজকীয় পদ যা উৎসবের দিনে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
“মটন কাবাব” ও “রেজালা” কলকাতার মুসলিম রন্ধনশৈলীর অংশ, যা দুর্গাপূজার সময়েও রেস্টুরেন্টে বিশেষভাবে পরিবেশিত হয়। নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিট, এবং কলেজ স্ট্রিটের আশেপাশে এই পদগুলোর স্বাদ নিতে ভিড় জমে। “বেকড ফিশ” এবং “চিকেন স্টেক” পশ্চিমী প্রভাবযুক্ত পদ হলেও, কলকাতার রেস্টুরেন্টে এগুলোর নিজস্ব স্বাদ ও পরিবেশন রয়েছে।
এছাড়া “মাছের পাতুরি”, “ইলিশ ভাপা” এবং “ডিমের ডেভিল” — এগুলোও দুর্গাপূজার সময়ে বাঙালি রসনার অন্যতম আকর্ষণ। শহরের পুরনো হোটেল যেমন পিটার ক্যাট, আমিনিয়া, এবং ৬০ বছরের পুরনো চিট্টু রেস্টুরেন্টে এই পদগুলোর স্বাদ নিতে উৎসাহী ভোজনরসিকেরা লাইন দেন।
দুর্গাপূজার সময় কলকাতার খাদ্যসংস্কৃতি শুধু প্যান্ডেল দর্শনের অংশ নয়, বরং এটি একটি আলাদা অভিজ্ঞতা। শহরের রন্ধনশৈলীর বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য এই উৎসবকে আরও রঙিন করে তোলে।