November 22, 2024

প্রাক্তন আরজি কর অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আরও কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এল। জানা গেছে যে ২০২২ সালের জুলাই মাসে আরজি কর হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট দেখা দেয়। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে হঠাৎ করেই রাতারাতি স্যালাইন ফুরিয়ে যায়। জানা যায়, স্যালাইন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্যালাইন দিতেন, তাদের কাছে দীর্ঘদিনের টাকা বকেয়া রয়েছে। ফলে তারা স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। আরজি কর হাসপাতাল জুড়ে স্যালাইনের তীব্র সংকট। তবে টাকা না দিয়ে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সন্দীপ ঘোষ। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। অবশেষে কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ, কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে অতিরিক্ত স্যালাইন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

এখানেই শেষ নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হাসপাতালের মর্গ থেকে চারটি লাশ নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অভিযোগ, মৃতদের পরিবারকে না জানিয়ে দেহগুলি ফরেনসিক মেডিসিন ওয়ার্কশপের জন্য অন্য মেডিকেল কলেজে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এ কাজে লাশের রেজিস্ট্রার পর্যন্ত লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলেন আরজি কর-এর তৎকালীন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোমনাথ দাস। অভিযোগের পরপরই অবশ্য সোমনাথ দাসকে দ্রুত বদলি করা হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই বিষয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের করেছে।  

এছাড়াও তিনি তার পছন্দের জুনিয়র ডাক্তার এবং  ইন্টার্নদের নিয়ে গেস্ট হাউসে নিয়মিত মদ্যপান করতেন। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কলেজ ফেস্টে তার ঘনিষ্ঠ ছাত্রদের জন্য দেদার ফুর্তি সাজানোর অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও,হাসপাতালে সিসিটিভি বসানোর জন্য ১৪ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। তবে সেখানে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ছিল না বলে অভিযোগ। এমনকি যে চেস্ট মেডিসিন বিভাগে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল সেখানে সিসিটিভি প্রায় নেই বললেই চলে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *