
শিবসাগরে ONGC-এর গ্যাস লিকেজ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আসামের তিনসুকিয়া জেলায় অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (OIL)-এর পাইপলাইন থেকে নতুন করে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোরে মাকুম বাইপাস এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জলাবদ্ধ জমি থেকে গ্যাসের বুদবুদ উঠতে দেখে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। কর্মকর্তারা পরে চিহ্নিত করেন যে, এটি বাঘজান থেকে হাপজান তেল সংগ্রহ কেন্দ্রে (OCS) গ্যাস পরিবহনকারী ৪৪ নম্বর পাইপলাইন।
পাইপলাইনের যে অংশে এই লিকটি দেখা দিয়েছে, সেটি বর্তমানে পানির নিচে ডুবে আছে এবং সেখান থেকে অবিরাম বুদবুদ বের হয়ে আসছে, যা সক্রিয় গ্যাস নির্গমনের ইঙ্গিত। যদিও এই ঘটনায় কোনো হতাহত বা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়নি, তবুও এটি আসামের উচ্চাঞ্চলে তেল অবকাঠামোর অখণ্ডতা এবং সুরক্ষা নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এই সর্বশেষ গ্যাস লিকটি শিবসাগরের ভাটিয়াপারে ONGC-এর একটি অপরিশোধিত তেলের কূপ থেকে গ্যাস নির্গমনের খবরের ঠিক পরেই ঘটল, যা ইতোমধ্যেই পরিবেশবাদী গোষ্ঠী এবং বাসিন্দাদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ক্রমবর্ধমান এই লিকের ঘটনাগুলোর প্রতিক্রিয়ায়, অল আসাম ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (AAEA) ভারতের প্রধান সরকারি তেল কোম্পানি ONGC এবং OIL-এর কাছ থেকে আরও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছে। সমিতিটি কূপগুলিকে “পরিত্যক্ত” বা “শুকনো” হিসাবে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক তদারকির অভাবের তীব্র সমালোচনা করেছে। AAEA যুক্তি দিয়েছে যে, এই ধরনের নামকরণ মানুষ, সম্পত্তি এবং পরিবেশের জন্য চলমান হুমকিগুলিকে কমিয়ে দেখাতে পারে।
দুটি ঘটনাই নতুন করে তদন্তের সূত্রপাত ঘটিয়েছে, এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য পরিবেশগত বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছেন। তারা অঞ্চলজুড়ে পুরোনো জ্বালানি অবকাঠামো মূল্যায়ন এবং আপগ্রেড করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।