
গৌহাটি হাইকোর্ট ২০১৮ সালের বহুল আলোচিত ট্রেনযাত্রী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে খালাস দিয়েছে, পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে। বিচারপতি কাকী ও বিচারপতি দেবাশীষ বরুয়ার দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন, যেখানে তাঁরা উল্লেখ করেন যে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণে প্রসিকিউশনের উপস্থাপিত তথ্য ও সাক্ষ্য যথেষ্ট নয়।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালের জুন মাসে, যখন দিল্লিগামী একটি ট্রেনে এক যাত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং পরবর্তী বিচারপর্বে নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। তবে হাইকোর্টে আপিলের পর মামলাটি পুনর্বিবেচনা করা হয়।
হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, মামলার সাক্ষ্য ও ফরেনসিক রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ঘটনার সময় ও স্থান সংক্রান্ত তথ্য, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতি এবং অভিযুক্তের উপস্থিতি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আদালত আরও উল্লেখ করে, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় সন্দেহের সুযোগ থাকলে তা অভিযুক্তের পক্ষে যায়।
এই রায়ের ফলে অভিযুক্ত দীর্ঘ সাত বছর পর মুক্তি পেলেন। মানবাধিকার সংগঠন ও আইনজীবী মহল এই রায়কে বিচারিক সতর্কতার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। তবে নিহত যাত্রীর পরিবার রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছে এবং উচ্চতর আদালতে যাওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করছে।
গৌহাটি হাইকোর্টের এই রায় আবারও মনে করিয়ে দিল, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় প্রমাণের গুরুত্ব অপরিসীম এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আদালতের দায়িত্ব সর্বোচ্চ।