
ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কাছারিঘাটে হঠাৎ ভয়াবহ নদী ভাঙনে বাসিন্দারা তীব্র আতঙ্কে। মঙ্গলবার বিকেলে মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৭০ ফুট প্রস্থের জমি মুহূর্তের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে যায়, যা ধীর গতির ক্ষয়ের বদলে আকস্মিক বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নদী এখন বসতির বিপজ্জনকভাবে কাছাকাছি চলে এসেছে। এক বাসিন্দা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “গতকালকের ঘটনার পর আমরা ঘুমাতে পারিনি।”
নদীর তীব্র স্রোতে বহু কোটি টাকার জিও-ব্যাগ প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ: “এটাই আমাদের রক্ষা করার একমাত্র বাঁধ, কিন্তু জিও-ব্যাগ দিয়ে শক্তিশালী ব্রহ্মপুত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সরকারের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত।” ভাঙনের মুখে কংক্রিটের দেয়ালও টিকতে পারেনি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসক বিক্রম কাইরি এবং বিধায়ক প্রশান্ত ফুকন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জেলা প্রশাসক জানান, জলসম্পদ বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে বালির ব্যাগ ও নতুন জিও-ব্যাগ ব্যবহার করে প্রশমন প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বিধায়ক ফুকন এই ঘটনাকে “ভূমিকম্পের মতো হঠাৎ” বলে বর্ণনা করে জানান, মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ভাঙন নিয়ন্ত্রণে সজারু (porcupine) মোতায়েন করা হচ্ছে। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হওয়া এই ভাঙনে একটি বাড়ি এবং পুরোনো জিও-ব্যাগ তলিয়ে গেছে।
ব্রহ্মপুত্রের এই শক্তি বারবার প্রমাণ করছে যে এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্থিতিস্থাপক সমাধানের জরুরি প্রয়োজন রয়েছে।