
নয়াদিল্লি, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — নির্মাণ খাতে বড় স্বস্তি এনে, GST কাউন্সিল সিমেন্ট ও স্টিলের উপর করের হার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এই সিদ্ধান্ত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে এবং এর ফলে আবাসন ও পরিকাঠামো প্রকল্পে নির্মাণ খরচ গড়ে ৩ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
GST 2.0 সংস্কারের আওতায়, সরকার বিদ্যমান পাঁচটি কর স্তরকে সরলীকরণ করে দুটি মূল স্তরে—৫% এবং ১৮%—বিভক্ত করেছে। সিমেন্ট ও স্টিলের মতো উচ্চ-চাহিদাসম্পন্ন নির্মাণ সামগ্রীকে ১৮% স্তরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের শিল্প ও গ্রাহক দাবির প্রতিফলন।
হিরানন্দানি গ্রুপ ও NAREDCO-এর চেয়ারম্যান নিরঞ্জন হিরানন্দানি এই পদক্ষেপকে “ল্যান্ডমার্ক রিফর্ম” বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, “এই সিদ্ধান্ত নির্মাণ খরচ কমাবে, প্রকল্পের লাভজনকতা বাড়াবে এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে গতি আনবে। বিশেষ করে সাশ্রয়ী আবাসন খাতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে, কারণ নির্মাণ খরচ কমলে তা সরাসরি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে”।
ANAROCK গ্রুপের চেয়ারম্যান অনুজ পুরি জানান, “নির্মাণ খরচে ৩–৫% হ্রাস প্রকল্পের নগদ প্রবাহে স্বস্তি আনবে এবং সাশ্রয়ী আবাসনের চাহিদা পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে”।
Yes Securities-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, GST হ্রাসের ফলে শহরাঞ্চলে প্রতি বর্গফুট নির্মাণ খরচ ₹১২ পর্যন্ত কমতে পারে। সিমেন্টের দাম প্রতি ব্যাগে ₹২৫–৩০ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নির্মাণ শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করবে।
অন্যদিকে, স্টিলের উপর GST হ্রাসও পরিকাঠামো প্রকল্পে খরচ কমাতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে সেতু, রেলপথ ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে। নির্মাণ খরচ কমার ফলে আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ বাড়বে এবং ক্রেতাদের জন্য আরও প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ সম্ভব হবে।
এই কর হ্রাসকে কেন্দ্র সরকার ‘হাউজিং ফর অল’ মিশনের সঙ্গে যুক্ত করে দেখছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২.৫ কোটি সাশ্রয়ী আবাসনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হবে। শিল্প মহল মনে করছে, এই পদক্ষেপ বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনবে, বিনিয়োগ উৎসাহিত করবে এবং রিয়েল এস্টেট খাতে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।