
অবশেষে ‘শাপমুক্তি’ ঘটল হ্যারি কেনের। । ১৫ বছরের কেরিয়ারে বার বার হতাশা নিয়ে ফিরতে হত তাঁকে অবশেষে হাসলেন তিনি। ট্রফি উঠল হ্যারি কেনের হাতে। ইংল্যান্ডের ফুটবল দলের অধিনায়ক বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জার্মানির বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং প্রথম ট্রফিজয়ের স্বাদ পেলেন ।লিগজ়িগের বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র হয় বায়ার্নের খেলা। মনে হচ্ছিল বায়ার্নই জিতবে। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে কিন্তু গোল খেয়ে যায় তারা। তাতে অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকায়নি দলের। কারণ, এই ম্যাচের পর বুন্দেশলিগার পয়েন্ট তালিকায় সকলের উপরে বায়ার্ন। ৩২টি ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৬। গত বারের বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেনের পয়েন্ট ছিল ৩২ ম্যাচে ৬৮। বায়ার্ন তাদের থেকে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে । আর দুই ম্যাচ বাকি। অর্থাৎ, লেভারকুসেন কোনও ভাবেই বায়ার্নের কাছে পৌঁছতে পারবে না । এ কারণেই দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কেনরা।
২০১০ সাল থেকে কেন সিনিয়র ফুটবল খেলতে শুরু করেন । ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলেছেন । তবে সেখানে ৩১৭ ম্যাচে ২১৩ গোল করলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি কোনও দিন । তাঁর অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ও ইউরো কাপেও ভাল খেলেছে। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি ১০৫ ম্যাচে ৭১ গোল করেছেন কিন্তু ট্রফির স্বাদ পাননি কখনো। মূলত ট্রফির জন্যই তিনি টটেনহ্যাম ছেড়ে ২০২৩ সালে জার্মানির ক্লাবে যোগ দেন । তাঁর সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হল। বায়ার্নের হয়ে দুই মরসুমে ৬১ ম্যাচ খেলে ৬০ গোল করেছেন হ্যারি কেন। দেশ বদলালেও তাঁর গোল করার দক্ষতা কমেনি তাঁর।
দিয়েগো মারাদোনার প্রাক্তন ক্লাব নাপোলি ইটালির ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এ বার চমক দিচ্ছে । জুভেন্টাস, রোমা, ইন্টার মিলান, এসি মিলানের মতো ক্লাবকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন তারা। সিরি এ-র পয়েন্ট তালিকায় নাপোলির প্রাপ্ত ৩৫ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট। ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৩৫ ম্যাচ খেলে ৭৪ । নাপোলির বাকি তিনটি ম্যাচ নীচের সারির দলের বিরুদ্ধে। সেই তিনটি ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট তুলতে পারলেই ইটালির চ্যাম্পিয়ন হবেন তারা।