April 19, 2025
medicine 1

বহু ওষুধ ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গিয়েই ওষুধের উপরে ছাড় দিচ্ছেন । আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ তথা রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলেছে জাল ওষুধের রমরমা । কিন্তু জাল ওষুধ চেনার সঠিক উপায়  জানা নেই সাধারণ মানুষ সহ ওষুধ ব্যবসায়ীদেরও। ‘বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’ এমন কথাই স্বীকার করল। গুণগত মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ব্যাচের ওষুধের তালিকা ও তথ্য সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর, পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের নির্দেশিকা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে বলা হয়েছে। যাতে কোথাও পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ  ওই সব ওষুধ ব্যবহার না হয়।

‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন ’ সূত্রের জানান হয়েছে, গত তিন মাসে প্রায় ৩০০টি ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় ফেল করেছে। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংস্থার তৈরি ওষুধও রয়েছে এর মধ্যে । রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। নির্দেশ করা হয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল থেকে শুরু করে সাধারন ওষুধের দোকানেও প্রকাশ্যে ঝোলাতে হবে অনুত্তীর্ণ সব ওষুধের তালিকা এবং তা রাখতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নজরদারি চালাতে দোকানে আচমকা পরিদর্শন করতে । কোথাও গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। রাজ্যের যে সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির তৈরি ওষুধ অনুত্তীর্ণের তালিকায় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।

এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে ‘বিসিডিএ’-র তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা অবশ্যই চান, সাধারন মানুষ সস্তায় ওষুধ কিনুন। তবে সেটা কখনওই গুণগত মানের সঙ্গে আপস করে নয়।  বিসিডিএ-র সম্পাদক বলেন যে, ওষুধ সস্তায় পেতে গেলে সবার আগে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে এবং একমাত্র কেন্দ্রই  পারে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার উপরে চাপ তৈরি করে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষকে এ সম্পর্কে সচেতন করতে জেলায় জেলায় প্রচার চালাবে বিসিডিএ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *