
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত যদি আরও তীব্র হয়, তবে তা ইরাক, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া এবং ইয়েমেনসহ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিমধ্যেই ইরান ও ইসরায়েলে ভারতের রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
সম্প্রতি, ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি স্থানে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। মুম্বাই-ভিত্তিক রপ্তানিকারক শরদ কুমার সরাফ বলেন, “এই যুদ্ধ ভারতের পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।” তার কোম্পানি ইতিমধ্যেই ইরান ও ইসরায়েলে চালান পাঠানো বন্ধ রেখেছে।
আরেকজন রপ্তানিকারক জানান, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত এবং লোহিত সাগরে ইয়েমেন-সমর্থিত হুতিদের হামলার কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আগেই সমস্যায় পড়েছেন। জাহাজ কোম্পানিগুলো ঐতিহ্যবাহী রুট এড়িয়ে আফ্রিকার চারপাশ ঘুরে দীর্ঘ পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। এখন, হরমুজ প্রণালীও হুমকির মুখে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সরাফ ব্যাখ্যা করেন, হরমুজ প্রণালী দিয়ে ভারতের প্রায় ৬০–৬৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়। এই পথ যদি অবরুদ্ধ হয় বা অনিরাপদ হয়ে ওঠে, তাহলে তেলের দাম দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, যার প্রভাব পড়বে ভারতের মুদ্রাস্ফীতিতে। কারণ, তেলের দাম বাড়লে পরিবহন থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্যের দামও বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা, রপ্তানি খাত এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা, রপ্তানি খাত এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।