August 18, 2025
2

মা আমার তিন দিনের অফিস বন্ধ আছে চলো তোমাদেরকে নিয়ে কসবেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে। ছেলের সেই আবদার পূরণ করতে রবিবার দুপুরে ছুটে আসে, কমলাসাগর কসবেশ্বরী মায়ের মন্দিরে দিবাকর ঘোষ তার স্ত্রী প্রিয়াংকা ঘোষ সহ দিবাকর ঘোষের মা বাবা ও মাসি। কসেশ্বরী মায়ের মন্দিরের পূজো দিয়ে মাকে ছেলে দিবাকর ঘোষ বলে মা বাবা মাসি তোমরা অন্য গাড়ি করে বাড়ি চলে যাও আমি প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে বিশালগড় নৌকা ঘাট ঘুরে বাড়ি আসছি।সেই কথা বলেই দিবাকর ঘোষ ও তার স্ত্রী প্রিয়াংকা ঘোষ TR01AW9205 নাম্বারের স্কুটি নিয়ে কসেশ্বরী মায়ের মন্দির থেকে সিপাহী জলা নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

পেছন অন্য গাড়ি করে দিবাকর ঘোষের মা বাবা মাসি আসছেন। হঠাৎ দেখতে ফটিক ঘোষ দিবাকরের বাবা দেখতে পায় গোকুলনগর টিএসআর ক্যাম্পের পাশে প্রচন্ড লোকজন রাস্তায় ভিড় জমে আছে। গাড়ি থেকে নেমে দেখতে পায় ছেলে দিবাকর ঘোষ পুত্রবধূ প্রিয়াংকা ঘোষ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছেন। দুর্ঘটনার সাথে সাথে  TSR ক্যাম্পের জোয়ানরা গাড়ি করে দিবাকর ঘোষ কে দ্রুত হাঁপানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা ঘোষ কে বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে মৃত বলে ঘোষণা করে অন্যদিকে হাঁপানিয়া হাসপাতালে দিবাকর ঘোষকেও মৃত বলে ঘোষণা করে।

এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে বিশালগড় থানা পুলিশ। স্বামী স্ত্রী উভয়ের মৃতদেহ উল্লেখিত হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‌ আগামীকাল ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। জানাযায় বেশ কিছুদিন হয়েছে তাদের বিয়ে হয়েছে। ফটিক ঘোষের একমাত্র ছেলে দিবাকর ঘোষ, অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা ঘোষ ছিল তার পরিবারের একমাত্র কন্যা। দিবাকর ঘোষ বিলোনিয়া ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন‌। তাদের মৃত্যুতে ঘোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *