
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর প্রস্তাবিত ২৬ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা ৯ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। এই সময়সীমা বৃদ্ধিকে তাঁরা বাণিজ্য আলোচনার জন্য “অতিরিক্ত জানালা” হিসেবে দেখছেন।
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের (FIEO) মহাপরিচালক অজয় সাহাই বলেন, “এই স্থগিতাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গঠনমূলক আলোচনার ইচ্ছার প্রতিফলন। এটি আমাদের আলোচকদের জন্য বাকি বিতর্কিত বিষয়গুলি সমাধানের সুযোগ করে দিচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান, শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন দেশ থেকে একাধিক প্রস্তাব আসায় হোয়াইট হাউস বেশ কয়েকটি বাণিজ্য চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “আমার ইনবক্স প্রস্তাবে ভরে গেছে। আগামী কয়েক দিন খুব ব্যস্ত যাবে।”
ভারতের প্রধান আলোচক রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ওয়াশিংটন থেকে ফিরে এসেছে। যদিও কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাণিজ্য নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি, তবুও আশা করা হচ্ছে যে ১ আগস্টের আগে একটি অন্তর্বর্তী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়সীমা বৃদ্ধি ভারতের জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দিতে পারে, বিশেষ করে যদি জুলাইয়ের মধ্যে একটি পণ্য-কেন্দ্রিক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হয়। তবে অনেক রপ্তানিকারক সতর্ক থেকেছেন, কারণ তাঁদের মতে, “এই স্থগিতাদেশ খুবই স্বল্পমেয়াদি” এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান “খুবই অনিশ্চিত”।
২০২৪–২৫ অর্থবছরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩১.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ভারতের রপ্তানি ছিল ৮৬.৫১ বিলিয়ন এবং আমদানি ৪৫.৩৩ বিলিয়ন ডলার। এই প্রেক্ষাপটে, শুল্ক বৃদ্ধির সময়সীমা বাড়ানো ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ স্বস্তি এনে দিয়েছে।