
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং কর্পোরেট আয় প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাবের কারণে চলতি সপ্তাহে ভারতীয় শেয়ারবাজারে পতন দেখা গেছে। সেনসেক্স ও নিফটি উভয় সূচকই সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ০.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
সপ্তাহের শুরুতে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী গতি থাকলেও, সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে তা স্তিমিত হয়ে পড়ে। শুক্রবার নিফটি ২৫,৪৬১ পয়েন্টে এবং সেনসেক্স ৮৩,৪৩২.৮৯ পয়েন্টে সপ্তাহ শেষ করে।
রিলিগেয়ার ব্রোকিং-এর অজিত মিশ্র জানান, সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতির পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়ায় বাজারে টান পড়ে। তবে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির সম্ভাবনার খবর বাজারে বড় পতন ঠেকাতে সহায়ক হয়েছে।
ম্যাক্রো অর্থনৈতিক দিক থেকে, ভারতীয় অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) থেকে ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকার লভ্যাংশ হস্তান্তর এবং জুন মাসে ১.৮৪ লক্ষ কোটি টাকার জিএসটি সংগ্রহ রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করেছে।
গ্লোবাল সংকেত মিশ্র থাকায় এবং উচ্চ মূল্যায়নের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা (FII) সতর্ক থাকলেও, দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (DII) সমর্থন বাজারকে বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা করেছে বলে জানান জিওজিত ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর গবেষণা প্রধান বিনোদ নায়ার।
বিভাগভিত্তিক পারফরম্যান্স
- উৎপাদনশীল খাত: তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা খাত স্থিতিশীল চাহিদা ও স্টকভিত্তিক গতির কারণে ভালো পারফর্ম করেছে।
- চাপের মুখে খাত: ব্যাংকিং, অটোমোবাইল ও রিয়েল এস্টেট খাতে মুনাফা তুলে নেওয়ার কারণে বিক্রির চাপ দেখা গেছে।
- প্রতিরক্ষা খাত: সরকার উচ্চমূল্যের একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুমোদন করায় এই খাতে শক্তিশালী কেনাবেচা হয়েছে।
প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ অনুযায়ী, নিফটি সাপ্তাহিক চার্টে একটি ছোট বিয়ারিশ ক্যান্ডেল গঠন করেছে, যা বাজারে সংহতির ইঙ্গিত দেয়। ২৫,১৫০–২৫,২০০ অঞ্চলে মূল সহায়তা এবং ২৫,৬০০–২৫,৭৪০ অঞ্চলে প্রতিরোধের স্তর চিহ্নিত করা হয়েছে।