
ভারতীয় দল এমন একটি দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে, যে দেশটি ভারতের বিরুদ্ধে শেষ জিতেছিল ২০০৩-এ। এই মুহূর্তে সেই বাংলাদেশ ফিফা ক্রমতালিকায় এমন এক জায়গায় রয়েছে যে, ভারতীয় ফুটবলের এই দুর্দিনেও দু’দলের মধ্যে ব্যবধান ৫০তম স্থানের। তবুও এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কিন্তু বেশ চিন্তিত ভারতীয় শিবির।
সম্পূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় দলের কোচ মানোলো মার্কুয়েজ এতটাই চিন্তিত যে, তিনি একজন চল্লিশ বছরের অবসর নেওয়া ফুটবলার সুনীল ছেত্রীকে আবার মাঠে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন। জাতীয় কোচের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে রীতিমতো সমালোচিত হয়েছেন জাতীয় কোচের পাশাপাশি ফেডারেশন কর্তারাও। আর সে কারণেই শিলংয়ে বাংলাদেশ ম্যাচের আগে রীতিমতো চাপে রয়েছে ভারতীয় শিবির। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ভারতীয় দলের চাপে থাকার আরও একটা কারণ হল, বাংলাদেশের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি।
একদা লেস্টার সিটির হয়ে ইপিএলে খেলা হামজা এই মুহূর্তে চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছেন । বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্তি হওয়ায়, সে দেশের শক্তি যে বৃদ্ধি পাবে, সেটা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে যখন কোচ হাভিয়ে কাবরেরার কোচিংয়ে দু’বছর আগে বেঙ্গালুরুর সাফে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছিল বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দল কী পরিকল্পনা করে খেলতে চাইছে, তা এখনি সংবাদমাধ্যমকে বুঝতে দিতে চাননি কোচ মানোলো। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মানোলো যেমন সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে আসেননি, অপরদিকে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ে নিয়ে আসেননি হামজা চৌধুরীকে। আর সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যাচের আগে দু’তরফ থেকেই এল সাধারণ কথা। আসল লড়াইটা রেখে দেওয়া হল মঙ্গলবার রাতের জন্য।