
একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, সেমিকন্ডাক্টর এবং রেয়ার আর্থ উপাদান খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাপ্লাই ম্যাপ পুনর্গঠনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির কারণে, এই অঞ্চলটি একটি কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসছে। গবেষণাটি প্রকাশ করেছে পলিটেইয়া রিসার্চ ফাউন্ডেশন (PRF), যা একটি স্বাধীন নীতিগত গবেষণা সংস্থা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, চীনের দীর্ঘদিনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে কোনও একক সমাধান নেই, তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা তহবিল, ইউরোপীয় বাজার নিয়ন্ত্রণ, জোগমেক (JOGMEC) কূটনীতি এবং ভারতের খনিজ অনুসন্ধান একত্রে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন পুনর্গঠনে ইতিমধ্যে প্রভাব ফেলছে।
ভারত বর্তমানে ASEAN-India Trade in Goods Agreement (AITIGA) পুনর্বিন্যাস করছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে সহায়ক হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত তার শুল্ক লাইনের ৭১% ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে, যেখানে ইন্দোনেশিয়া মাত্র ৪১%, ভিয়েতনাম ৬৬.৫% এবং থাইল্যান্ড ৬৭% শুল্ক লাইনে ছাড় দিয়েছে। এই অসমতা ভারতের বাণিজ্য ঘাটতিকে ২০১০-১১ সালের $৫ বিলিয়ন থেকে ২০২২-২৩ সালে $৪৩.৫৭ বিলিয়নে পৌঁছে দিয়েছে, যার একটি বড় অংশ সেমিকন্ডাক্টর আমদানির কারণে।
ভারত-সিঙ্গাপুর কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির আওতায় ২০২৪ সালে একটি সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক প্রযুক্তি বিনিময় ও বাজার প্রবেশে সহায়তা করবে।
এই উদ্যোগগুলি ভারতের প্রযুক্তি ও খনিজ খাতে আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাপ্লাই চেইনকে আরও স্থিতিশীল ও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে সক্ষম হবে।
সূত্র: The Hans India রিপোর্ট.