
নয়াদিল্লি, ১৫ জুলাই ২০২৫ — জুন মাসে ভারতের পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে $১৮.৭৮ বিলিয়নে পৌঁছেছে, যা মে মাসের $২১.৮৮ বিলিয়ন এবং গত বছরের জুনের $২০.৮৪ বিলিয়নের তুলনায় অনেক কম। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আমদানি হ্রাস এবং পরিষেবা খাতে শক্তিশালী উদ্বৃত্ত এই ঘাটতি সংকোচনের মূল কারণ।
জুন মাসে পণ্য রপ্তানি ছিল $৩৫.১৪ বিলিয়ন, যা গত বছরের একই সময়ের $৩৫.১৬ বিলিয়নের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত। অন্যদিকে, আমদানি ৩.৭১% কমে দাঁড়িয়েছে $৫৩.৯২ বিলিয়নে, যেখানে গত বছর জুনে তা ছিল $৫৬ বিলিয়ন। বিশেষভাবে, সোনা আমদানিতে ২৫.৭৩% হ্রাস এবং ডাল, কয়লা, মূল্যবান পাথর ও প্রকল্প সামগ্রীর আমদানিতেও উল্লেখযোগ্য পতন লক্ষ্য করা গেছে।
পরিষেবা খাতে জুন মাসে রপ্তানি হয়েছে $৩২.৮৪ বিলিয়ন এবং আমদানি $১৭.৫৮ বিলিয়ন, যার ফলে $১৫.২৬ বিলিয়নের উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হয়েছে। পণ্য ও পরিষেবা মিলিয়ে মোট রপ্তানি হয়েছে $৬৭.৯৮ বিলিয়ন এবং আমদানি $৭১.৫০ বিলিয়ন, যার ফলে মোট বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে $৩.৫১ বিলিয়ন।
এপ্রিল–জুন ত্রৈমাসিকে পণ্য রপ্তানি ১.৯২% বৃদ্ধি পেয়ে $১১২.১৭ বিলিয়নে পৌঁছেছে, তবে আমদানি ৪.২৪% বেড়ে $১৭৯.৪৪ বিলিয়নে পৌঁছেছে, যার ফলে ত্রৈমাসিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে $৬৭.২৬ বিলিয়ন। ইলেকট্রনিক পণ্য, চা ও পাট রপ্তানিতে যথাক্রমে ৪৬.৯৩%, ৩২.৬৪% এবং ২৩.৪% বৃদ্ধি হয়েছে, যদিও রত্ন ও গহনা রপ্তানি ১৪.২৫% কমেছে।
আইসিআরএ-র প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, “জুন মাসে পণ্য রপ্তানিতে দুর্বলতা থাকলেও আমদানি আরও বেশি হ্রাস পাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পরিষেবা খাতে শক্তিশালী উদ্বৃত্তের ফলে প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের বর্তমান হিসাব ঘাটতি জিডিপির মাত্র ০.৭% হতে পারে, যা গত বছরের ০.৯% থেকে কম।”
এই পরিসংখ্যান ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য পরিস্থিতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ও আশাবাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যদিও বৈশ্বিক অস্থিরতা ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা রপ্তানি বৃদ্ধির পথে চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকছে।