
শুল্ক যুদ্ধের আবহ শুরুর আগে থেকেই শেয়ার বাজারের অস্থির পরিস্থিতির জন্য অধিকাংশ সংস্থার স্টক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু স্টক রয়েছে যেগুলির পারফরম্যান্স তুলনায় অনেক বেশি ‘স্টেডি’। অর্থাৎ খারাপ সময়ের মধ্যেও ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ওই সমস্ত স্টক। এ রকমই একটি মাল্টিব্যাগার স্টকের কথা জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে। ওই স্টকে যাঁরা ১ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছিলেন পাঁচ বছর আগে, তাঁরা এখন রিটার্ন পাচ্ছেন প্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি। সম্প্রতি ওই সংস্থার ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবর্ষে ওই সংস্থার নেট প্রফিট চার গুণ বেড়েছে।
ওই মাল্টিব্যাগার স্টকের নাম ট্রান্সফরমার অ্যান্ড রেক্টিফায়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড (TRIL)। বিবিধ সেক্টরে কাজ করে এই সংস্থা। পাওয়ার জেনারেশন, ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিসস্ট্রিবিউশন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানুফ্যাকচারিং-সহ একাধিক ফিল্ডে উপস্থিতি রয়েচে এই সংস্থা। কেবল ভারত নয়, এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও কাজ করে ট্রিল।
শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রিল-এর শেয়ার দর পৌঁছেছে ৫৪৪ টাকায়। শেষ শুক্রবার ৫ শতাংশ দাম বেড়েছে এই সংস্থার স্টকের। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতেও গত এক মাসে ৪১ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে এই স্টক। গত এক বছরে এই স্টকের দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশের কাছাকাছি। পাঁচ বছর আগে এই ট্রিল ছিল একটি পেনি স্টক। এর শেয়ারের তখন দাম ছিল ৩.৪৫ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে ১৬০০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে এই স্টকের দাম। অর্থাৎ পাঁচ বছর আগে যাঁরা এই স্টকে ১ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছিলেন, তাঁরা রিটার্ন পাবেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকারও বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের শেষ কোয়ার্টারেরও ভাল ফিনান্সিয়াল রেজ়াল্ট রয়েছে এই সংস্থার। ওই সময়কালে নেট প্রফিট হয়েছে ৯৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। যা তার আগের অর্থবর্ষের ওই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই সংস্থার নেট প্রফিট ২১৬ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের থেকে যা প্রায় চার গুণ বেশি। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে বার্ষিক রেভিনিউ ১০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে এই সংস্থার। শেয়ার বাজারে লগ্নি যদি আপনি করেন, তাহলে অবশ্যই এই স্টকে নজর রাখতে পারেন।