
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া স্বাভাবিক—কখনও কুঁচকে যাওয়া, কখনও বলিরেখা। তবে আজকাল অনেকেই তারুণ্য ধরে রাখতে নানা চেষ্টা করছেন। তারকাদের দেখাদেখি অনেকেই বেছে নিচ্ছেন বোটক্স, লেজার ট্রিটমেন্ট বা রেডিয়েশন থেরাপি। ত্বক যেন সবসময় ঝকঝকে ও টানটান দেখায়—এই চেষ্টায় কেউ পিছু হটছেন না।
কিন্তু এসব থেরাপি আদৌ কতটা নিরাপদ? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কতটা? অনেকেই সে প্রশ্ন তোলেন না। তাই সবচেয়ে নিরাপদ ও টেকসই উপায় হল প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়া।
বোটক্স করাতে চাইলে ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই প্রাকৃতিক বোটক্স জেল তৈরি করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও টানটান ভাব ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাড়িতে কীভাবে বোটক্স জেল তৈরি করবেন?
বাড়িতে সহজেই তিসি বীজ দিয়ে একেবারে প্রাকৃতিক বোটক্স জেল বানানো যায়। তিসি বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই বীজে আরও রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ত্বকের প্রদাহ ও সংবেদনশীলতা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাঁদের মুখে ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি দারুণ কার্যকর।
এই জেল বানাতে এক চামচ তিসি বীজ রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই ভেজানো বীজ ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। মিহি, থকথকে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এতে দিন দু’চামচ অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা ত্বকের প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার, এটি মৃত কোষ দূর করে এবং প্রদাহ কমায়। এরপর মেশান এক চামচ গোলাপজল— যা ত্বককে হাইড্রেট রাখে ও উজ্জ্বল করে তোলে। সবশেষে মেশান ১–২ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল— যেমন ল্যাভেন্ডার বা জেরানিয়াম অয়েল। এই তেলগুলো বার্ধক্যের ছাপ কমিয়ে ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে।
এই জেল সপ্তাহে দু’বার মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থাকবে আর্দ্র, বলিরেখা কমে যাবে এবং ত্বক দেখাবে টানটান ও উজ্জ্বল।