
বর্ষায় নিরামিষ পদগুলির মধ্যে একদম অন্য স্বাদের একটি পদ—মৌরি পটল। বাজারে এখন টাটকা শাক-সবজির অভাব নেই। তার মধ্যে থেকে বেছে নিন টাটকা পটল আর আলু, আর ঝটপট বানিয়ে ফেলুন এই সহজ অথচ স্বাদে অনন্য রান্না। এই পদে তেমন ঝাঁঝালো মশলার ব্যবহার নেই, তবুও মৌরির সুবাসে এমন এক স্বাদ তৈরি হয়, যা না খেলে বোঝা অসম্ভব!
উপকরণ :
• পটল – ৭-৮টি (লম্বা করে কাটা)
• আলু – ২টি (লম্বা করে কাটা)
• সর্ষের তেল – ২ টেবিল চামচ
• ঘি – ১ টেবিল চামচ
• মৌরি – ৩ টেবিল চামচ
• শুকনো লঙ্কা – ২টি
• তেজপাতা – ১টি
• এলাচ – ১টি (হালকা থেঁতো)
• দারচিনি – ১ গাঁট
• লবঙ্গ – ২টি
• আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
• লঙ্কা বাটা – ১/২ টেবিল চামচ
• হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
• লঙ্কা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
• দুধ – ১/২ কাপ (৮-১০ টেবিল চামচ)
• নুন – স্বাদমতো
• চিনি – স্বাদমতো
প্রণালী :
১। একটা শুকনো কড়াইয়ে অল্প আঁচে প্রথমে মৌরি ভেজে নিন। সুগন্ধ বেরোলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে শিলনোড়া বা হামান-দিস্তায় গুঁড়ো করে নিন।
২। এরপর কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে আলু ও পটল আলাদা আলাদা করে ভেজে তুলে রাখুন।
৩। একই তেলে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে ফোঁড়ন দিন। এরপর দিন আদা ও লঙ্কা বাটা, ১ টেবিল চামচ ভাজা মৌরির গুঁড়ো, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো। সামান্য জল ছিটিয়ে মশলাটি ভালোভাবে কষান।
৪। মশলা কষে গেলে তাতে দিন নুন, চিনি এবং আগে ভেজে রাখা আলু ও পটল। মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৫। সবজি কষে গেলে তার মধ্যে দুধ ও সামান্য জল দিয়ে দিন। ফুটতে দিন কিছুক্ষণ।
৬। এবার আলাদা এক ছোট প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করে তার মধ্যে দিন ১ টেবিল চামচ ভাজা মৌরির গুঁড়ো। এই মিশ্রণটি রান্না করা তরকারির উপর ঢেলে দিন।
৭। সব শেষে আঁচ বন্ধ করে কিছুক্ষণ কড়াইটি ঢাকা দিয়ে রাখুন, যাতে মৌরির গন্ধ মিশে যায় পুরো তরকারিতে।
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই মৌরি পটল। ঝাঁঝ নয়, মৃদু সুবাস আর নরম স্বাদের নিরামিষ খাওয়ার জন্য আদর্শ এই পদ।