
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও স্পেশ্যালিটি কেমিক্যালস উৎপাদনে প্রবেশ করছে ম্যাটিক্স গ্রুপ। এ জন্য তারা ২,৬০০ কোটি টাকার বেশি লগ্নি করে পশ্চিমবঙ্গে একটি আইসো–প্রোপাইল অ্যালকোহল (আইপিএ) প্লান্ট গড়ে তুলবে। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, পূর্ব ভারতে এটিই হবে প্রথম আইপিএ প্লান্ট।
ম্যাটিক্সের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত ইউনিটটিতে বছরে ৫০ হাজার টন আইপিএ উৎপাদিত হবে। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে ম্যাটিক্সের যে সার কারখানা রয়েছে, সেখানেই এই নতুন প্লান্টটি ২০২৬–২৭ অর্থবছরে উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ম্যাটিক্সের পানাগড়ের কারখানায় এখন বছরে ১.২৭ মিলিয়ন টন ইউরিয়া উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে আইপিএ প্লান্ট গড়ে তোলার লগ্নি সংক্রান্ত বিষয়ে সংস্থার তরফে বিশদে জানানো হয়নি। ফার্মাসিউটিক্যালস ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্য উৎপাদন আইপিএ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল।
ম্যাটিক্স জানিয়েছে, তাদের এই প্রকল্পের ফলে ভারতের বাজারে ঘরোয়া ভাবে উৎপাদিত কেমিক্যালের সরবরাহ বাড়বে এবং তা কেন্দ্রের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার ডাককে সহায়তা করবে। উপদেষ্টা সংস্থা ম্যাকিনসে–র সহযোগিতায় করা একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে ম্যাটিক্স কেমিক্যালস উৎপাদনের ব্যবসায় প্রবেশ করার পরিকল্পনা করেছে। আইপিএ উৎপাদনের জন্য মূল কাঁচামাল অ্যাসিটোন–এর জোগান নিশ্চিত করতে হলদিয়া পেট্রোকেমের শাখা সংস্থা অ্যাডপ্লাস কেমিক্যালস অ্যান্ড পলিমার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে ম্যাটিক্স।
ম্যাটিক্স ফার্টিলাইজ়ার্স অ্যান্ড কেমিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নিশান্ত কানোরিয়া বলেন, ‘বড় কারখানা তৈরি করে এবং চালিয়ে আমরা আমাদের ক্ষমতা সফল ভাবে দেখিয়েছি এবং আজ আমরা পূর্ব ভারতের বৃহত্তম সার কারখানা।’
তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের পরিকাঠামো এবং পরিচালন দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও স্পেশ্যালিটি কেমিক্যালস ক্ষেত্রে ঘরোয়া বাজারের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে চাই।’ উল্লেখ্য, পূর্ব ভারতের সারের বাজারে ম্যাটিক্সের প্রায় ২০% অংশীদারি রয়েছে।