
লিয়োনেল মেসি ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেন । প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেল তাঁর ক্লাব ইন্টার মায়ামি। ৪-০ গোলে প্যারিস সঁ জরমঁ জিতল । জোয়াও নেভেস জোড়া গোল করলেন এবং একটি গোল আশরফ হাকিমির। একটি আত্মঘাতী গোল করেছেন মায়ামির আভিলেস । ইউরোপ সেরা ক্লাব প্যারিস ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল । প্যারিসের বিরুদ্ধে বেশি ক্ষণ দাঁড়ানো যে মুশকিল হবে এটা মায়ামি জানতই। ছ’মিনিটের মধ্যে চার গোলের মধ্যে তিনটি হয়েছে ।
ভিটিনহা, ডেজ়িরে ডুয়ে, নুনো মেন্দেসরা গোটা ম্যাচেই মায়ামির রক্ষণ ফালাফালা করে দিয়েছেন । ছ’মিনিটেই পিএসজি এগিয়ে যায় । শুরুতেই গোল পেয়ে ফ্রান্সের ক্লাব দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকে । তারাই একতরফা আক্রমণ করে যাচ্ছিল । মায়ামি বক্সের সামনে ভিড় বাড়িয়ে ফেলছিল । পিএসজি-র ফুটবলারেরা গোলের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না । মায়ামির ফুটবলারেরা প্রচুর মিস্ পাস করছিলেন। মেসিকে প্রথমার্ধে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তিনি দু’-তিন বারের বেশি বলই ধরতে পারেননি। আর তারপর সেটাও বেশি ক্ষণ নিজের দখলে রাখতে পারেননি তিনি।
কোচ লুই এনরিকের অধীনে দীর্ঘ দিন বার্সেলোনায় খেলেছেন মেসি। তাই এনরিকে ভাল করেই জানতেন কী ভাবে মেসিকে আটকানো সম্ভব।পিএসজি ৩৯ মিনিটে দলগত প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় গোলটি করে । মিনিট পরে হয় তৃতীয় গোল। মায়ামির আভিলেস ডান দিক থেকে ডুয়ের ভাসানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন ।প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়েও একটি গোল করে পিএসজি। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও আত্মসমর্পণ করেনি মায়ামি। তারা শুরু থেকেই বল নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করছিল । বেশ কয়েক বার আক্রমণেও ওঠে এবং মেসিকেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়।