
ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইল গোটা বিশ্ব। শনিবার টোকিও থেকে সেন্ডাই পর্যন্ত বিখ্যাত শিনকান্সেন বুলেট ট্রেনে একসঙ্গে সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রেন যাত্রার সময় দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত-জাপান সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেন্ডাই পৌঁছালে জনসাধারণ মোদিকে “Modi-san welcome” বলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি ১০ বছর মেয়াদি যৌথ ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, পরিষ্কার শক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগে সমন্বিত পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি হয়েছে।
জাপান আগামী দশ বছরে ভারতে প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (অর্থাৎ প্রায় ₹৬ ট্রিলিয়ন) বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ কর্মী ও শিক্ষার্থীর আদানপ্রদান করারও লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে।
ভারতের উচ্চগতির রেল প্রকল্পে জাপানের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনাও হয় দুই নেতার মধ্যে। বুলেট ট্রেনের এই প্রতীকী যাত্রা শুধু প্রযুক্তিগত সহযোগিতার নয়, বরং দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত রূপরেখারও ইঙ্গিত দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এক নতুন যুগের সূচনা করল।