June 26, 2025
4

কমিউনিস্টরা হল পার্মানেন্ট ইমার্জেন্সি। ক্ষমতার দম্ভে ৩৫ বছর ত্রিপুরার মানুষের সমস্ত ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও ব্যক্তিগত কারনে সেই সময়ে ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছিলেন। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ত্রিপুরা সরকার আয়োজিত দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সংবিধান হত্যা দিবস ২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার মত কোনো পরিস্থিতি না থাকা সত্বেও শুধু মাত্রই ব্যক্তিগত কারনে ইন্দিরা গান্ধী ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেন, যা স্বাধীন ভারতে এক কালো ইতিহাস রচনা করে গেছেন।

আর অন্যদিকে কমিউনিস্টরা ৩৫ বছর ক্ষমতার দম্ভে রাজ্যের মানুষের সমস্ত অধিকার খর্ব করেছে। মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। দলের নির্দেশ ছাড়া কিছুই করা যেত না। মাওবাদীও তাঁদেরই সৃষ্টি। তাই সম্প্রতি ছত্রিশগড়ে মাওবাদীদের হত্যা নিয়ে পলিটব্যুরো প্রেস রিলিজ করে মায়া কান্না করে। কমিউনিস্টরা কখনো মানুষের কল্যানে কাজ করে না। রাষ্ট্রের অস্তিত্বও তারা স্বীকার করে না। আবার যখন বেকায়দায় পরে, সেই কমিউনিস্টরাই আবার সংবিধানের দোহাই দেয়। তিনি বলেন, যারা সংবিধান নিয়ে বেশী ঘুরে বেড়ায় তারাই সংবিধান হত্যা করেছে। যে ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সংবিধানের হত্যা করা হলো, উনারই নাতি রাহুল গান্ধী সংবিধান হাতে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু এর কিছুই জানেনা। কত পৃষ্ঠা আছে, তা পর্যন্তও জানেনা।

প্রকৃত ইতিহাস থেকে মানুষকে দূরে রাখাই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য। কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা ইংরেজদের ব্যবস্থাকেই কায়েম করে রেখেছিলো। ত্রিপুরায় কমিউনিস্ট শাসনে, সিলেবাস থেকে ভারতের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ ছিল। ছিল তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের পরোক্ষ কাহিনী। এমনকি ত্রিপুরার কল্যানে রাজাদের অবদানের পর্যন্ত স্থান ছিল না। ইতিহাস ভুলিয়ে দিলেই, অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে, এই প্রচেষ্টাই ছিল তাঁদের। এদিন শুরুতে জরুরি অবস্থার তথ্য সম্বলিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *