
অভিনেতা মুকেশ ঋষি সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ওটিটি সিরিজ ‘সলাকার’-এ পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জিয়া-উল-হকের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ৮ আগস্ট মুক্তি পাওয়া এই গুপ্তচরভিত্তিক সিরিজে তাঁর চরিত্রটি নিয়ে তিনি খোলাখুলি আলোচনা করেন এবং জানান কীভাবে নির্মমতা ও চরিত্রের গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
মুকেশ ঋষি জানান, “এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলে অনেক কিছু স্বাভাবিকভাবেই চরিত্রের মধ্যে চলে আসে। নির্মাতারা যে লুক দিয়েছেন, পোশাক পরিকল্পক যে কুর্তা দিয়েছেন—সব মিলিয়ে চরিত্রটি নিজের মধ্যে গড়ে উঠতে শুরু করে।” তিনি আরও বলেন, “পরিচালকের নির্দেশ অনুযায়ী চরিত্রের তীব্রতা কমানো বা বাড়ানো সহজ হয়ে যায়। পরিবেশ, সেট, গাড়ি, বই—সবকিছু চরিত্রের আবহ তৈরি করে দেয়।”
‘সলাকার’-এ জিয়া-উল-হক চরিত্রটি পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি ও ভারতের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপিত হয়েছে। সিরিজে দেখানো হয়েছে, কীভাবে জিয়া জুলফিকার আলি ভুট্টোর “হাজার কাটে রক্তক্ষরণ” নীতিকে বাস্তবায়িত করেন এবং পরে ভুট্টোকে সাজানো মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এই সিরিজটি দুটি সময়রেখায় এগোয়—১৯৭৮ সালে ভারতীয় গুপ্তচর আধির দয়ালের পাকিস্তান মিশন এবং ২০২৫ সালে এজেন্ট মিরিয়ামের বর্তমান অভিযান। সিরিজটি জিয়া-উল-হকের শাসনামলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও পরমাণু কর্মসূচির অন্তর্নিহিত ষড়যন্ত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।
মুকেশ ঋষির মতে, চরিত্রের নির্মমতা ফুটিয়ে তুলতে স্ক্রিপ্ট, পরিবেশ এবং পরিচালকের নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর অভিনয় সিরিজের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলেছে বলে সমালোচকরা মনে করছেন।