October 12, 2025
3

আসামের ডিগবয়ে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে তেল নালায় আবর্জনার স্তূপে আটকা পড়ে এক স্ক্র্যাপ সংগ্রাহকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর রামনগর ও সংলগ্ন এলাকায় কৃত্রিম বন্যার খবর পাওয়া গেছে। শহরের নিষ্কাশন ব্যবস্থার দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রধান নিষ্কাশন নালা প্লাস্টিক, আবর্জনা এবং অন্যান্য বর্জ্যে আটকে যাওয়ায় ডিগবয়ের রামনগর এবং পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর ফলে সেখানকার বাসিন্দা এবং দোকানদারদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ডিগবয়ের বিধায়ক সুরেন ফুকন, পৌরসভার ভাইস চেয়ারপারসন, আইওসিএল (IOCL) কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তারা ড্রেন এবং পাইপলাইনগুলির দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বর্জ্য এবং আবর্জনা পরিষ্কার করার সমস্যার মূল্যায়ন করেছেন।

পরিদর্শনকালে জানা যায়, AOD রিফাইনারি এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের সাথে সংযোগকারী একটি ড্রেন নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে ১.৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। কিন্তু ডিগবয় পৌর বোর্ডের পক্ষ থেকে বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (DPR) জমা দিতে বিলম্ব হওয়ায় প্রকল্পটি এখনও আটকে রয়েছে।

আইওসিএল (IOCL) কর্মকর্তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন যে আগামী সপ্তাহে অবরুদ্ধ স্থানগুলি পরিষ্কার করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে। কর্তৃপক্ষ শহরের বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যেন তারা ড্রেনেজ চ্যানেলে বর্জ্য, বোতল বা প্লাস্টিক না ফেলেন, কারণ এই অভ্যাস সরাসরি বন্যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে।

এই মানব ট্র্যাজেডি এবং বারবার কৃত্রিম বন্যার কারণে ডিগবয়ের নিষ্কাশন ব্যবস্থার স্থায়ী সংস্কারের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। এখন বাসিন্দারা পৌরসভা, জেলা প্রশাসন, আইওসিএল এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত প্রচেষ্টার দিকে তাকিয়ে আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *