July 3, 2025
23

নয়াদিল্লি, ২ জুলাই ২০২৫ — সদ্য অনুমোদিত জাতীয় ক্রীড়া নীতি ২০২৫-কে “ভারতের বৈশ্বিক ক্রীড়া শক্তি হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন” বলে অভিহিত করেছেন ভারতের প্রাক্তন গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী টেনিস তারকা মহেশ ভূপতি। তিনি বলেন, এই নীতি কেবল প্রচলিত খেলাগুলির উন্নয়নেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্যাডেল-এর মতো উদীয়মান খেলাগুলির জন্যও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।

ভূপতি, যিনি ওয়ার্ল্ড প্যাডেল লিগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বলেন, “এই নীতির মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক লিগ গঠনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যা নতুন খেলাগুলির বিকাশে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলে ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করাও এই নীতির মূল দিক।”

জাতীয় ক্রীড়া নীতি ২০২৫ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এটি ২০০১ সালের পুরনো নীতিকে প্রতিস্থাপন করে এবং ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস সহ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে একটি কৌশলগত রোডম্যাপ নির্ধারণ করে।

ভূপতি আরও বলেন, “এই নীতি ভারতের ক্রীড়া পরিকাঠামোর পরবর্তী অধ্যায়ের সূচনা করছে—যেখানে অংশগ্রহণ, বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়া হবে মূল লক্ষ্য। আমরা গর্বিত যে ওয়ার্ল্ড প্যাডেল লিগকে ভারতে নিয়ে এসে এই যাত্রার অংশ হতে পারছি।”

নীতিটি পাঁচটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে গঠিত—বিশ্বমঞ্চে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্রীড়ার ভূমিকা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জনগণের মধ্যে ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং শিক্ষার সঙ্গে ক্রীড়ার সংযুক্তি। এটি ক্রীড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নীতি ভারতের ক্রীড়া জগতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করবে এবং দেশকে একটি সুসংগঠিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক ক্রীড়া শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *