
গৌহাটি মেডিকেল কলেজে (GMCH) এক নবজাতকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। চার দিন বয়সী শিশুটি হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (NICU) ভর্তি ছিল এবং অভিযোগ অনুযায়ী, সোমবার ভোরে ফটোথেরাপি বেড থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর GMCH-এর নার্স ভানুপ্রিয়া মিসং-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ধেমাজির বাসিন্দা এবং ঘটনার সময় NICU-র একটি ইউনিটের ইনচার্জ ছিলেন। শিশুটির বাবা উৎপল বড়োলই অভিযোগ করেন, হাসপাতালের অবহেলার কারণেই তাঁর সন্তানের মৃত্যু হয়েছে এবং তিনি GMCH কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
ভানুপ্রিয়ার পরিবার দাবি করেছে, তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে এবং উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষ নিজেদের দায় এড়াতে তাঁকে একা দোষী করছেন। সহকর্মীরাও অভিযোগ তুলেছেন যে NICU-তে মাত্র কয়েকজন নার্সের উপর অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকে। ঘটনার রাতে ভানুপ্রিয়া একাই ৩৫টি শিশুর দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।
GMCH-এর অধ্যক্ষ ড. অচ্যুত বৈশ্য জানান, এটি হাসপাতালের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা যেখানে NICU-তে শিশুর মৃত্যু হয়েছে ফটোথেরাপি বেড থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে। দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা GMCH পরিদর্শন করেন এবং বলেন, “অত্যধিক ভিড় নয়, অবহেলাই মৃত্যুর কারণ হতে পারে।” তিনি নার্সদের সতর্ক করে দেন যে অবহেলা প্রমাণিত হলে তাঁদের দূরবর্তী স্থানে বদলি করা হবে।
এই ঘটনাটি হাসপাতালের কর্মী সংকট, অব্যবস্থাপনা এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তদন্তের ফলাফলের দিকে এখন নজর গোটা রাজ্যের।