
নতুন দিল্লি, ২৮ জুলাই ২০২৫ — ভারতের সরকারি নীতি নির্ধারণকারী সংস্থা NITI আয়োগ ইলেকট্রিক গাড়ি (EV), হাইব্রিড ও প্রচলিত যানবাহনের লাইফসাইকেল নির্গমন নিয়ে ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা নির্ধারণ করতে চান কোন প্রযুক্তিই পরিবেশের জন্য সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন এবং টেকসই।
২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী ইলেকট্রিক ড্রাইভ রেভোলিউশন ইন ইনোভেটিভ ভেহিকেল এনহান্সমেন্ট (PM E-DRIVE) পরিকল্পনার আওতায় সরকার মোট ১০,৯০০ কোটি টাকা ছাড়ের জন্য বরাদ্দ করেছে, যা ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রযোজ্য থাকবে। তবে বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং হাইব্রিড যানবাহনের মধ্যে ছাড় ও সুনিশ্চিত সুবিধা বিষয়ে কয়েকটি স্বতন্ত্র মত রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহারে কোন নির্গমন হয় না, অর্থাৎ এগুলো ‘টেলপাইপ এমিশন’ মুক্ত। কিন্তু কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই যানবাহনগুলির উৎপাদন, ব্যবহার ও নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায়—বিশেষত ব্যাটারি নির্মাণ ও নিষ্পত্তি—পর্যাপ্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের সম্ভাবনা থাকে, যা কিছু ক্ষেত্রে হাইব্রিড বা ফসিল ফুয়েল ভিত্তিক যানবাহনের থেকে বেশি হতে পারে।
NITI আয়োগের চেয়ারম্যান বিএভিআর সুব্রন্ময়ম জানিয়েছেন, যান নির্মাতাদের অনুরোধের প্রতি সাড়া দিয়ে নতুন কোনো সরকারি ছাড় প্রদান হবে না এবং রাজ্য সরকারগুলোর কাছে অনুরোধ করা হবে যাতে তারা ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড যানবাহনের বিক্রির ক্ষেত্রে অনুমতি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে। এতে করে বাজারে এসব যানবাহনের প্রবেশ সহজ হবে।
বর্তমানে ভারতের ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৭,৫০,০০০। প্রধানমন্ত্রী ইলেকট্রিক ড্রাইভ এর আওতায় পরবর্তী বছরগুলোতে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের পরিবহন খাতকে সবুজ ও টেকসই করার লক্ষ্যে এ-মোবিলিটি ব্যাপক প্রচারে রয়েছে।
এই সমীক্ষা এবং নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে ভারত সরকার পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহারে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্লেষণভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, যা দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এগিয়ে নিয়ে যাবে।