
গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (GMCH) সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সিস্টার-ইন-চার্জ ভানুপ্রিয়া মিশংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, এই গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নার্সদের একটি অংশ দাবি করছে যে এই ঘটনায় ভানুপ্রিয়াকে একা দায়ী করা অন্যায়, কারণ নবজাতকের মৃত্যুর সময় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (NICU) আরও অনেক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, ঘটনার সময় পাঁচজন নার্স, তিনজন ডাক্তার, দুজন ওয়ার্ড গার্ল এবং দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কর্তব্যরত ছিলেন। ভানুপ্রিয়ার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি দুধ তৈরি করার জন্য স্বল্প সময়ের জন্য ঘর থেকে বাইরে ছিলেন। তারা আরও উল্লেখ করেন যে, যে কক্ষে তিনি দায়িত্বে ছিলেন সেখানে ৩৫টি শিশু ছিল, যা সরকারি হিসাবের (২৬) চেয়ে বেশি। কর্মীদের অভিযোগ, সেখানে মাত্র একজন নার্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যখন তিনজনের প্রয়োজন ছিল। তারা আরও জানান, একটি শিশু উষ্ণায়ন যন্ত্রও ত্রুটিপূর্ণ ছিল।
নার্সরা সুপারিনটেনডেন্ট এবং অধ্যক্ষের দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এবং কর্তব্যরত ডাক্তারদের জবাবদিহি না করার বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, শুধু একজন নার্সকে গ্রেপ্তার করে হাসপাতালের বৃহত্তর অবকাঠামোগত ও ব্যবস্থাপনার সমস্যাগুলোকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনাটি হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।