
বিএসএনএলের কলকাতা কার্যালয়ের অর্থ বিভাগের আধিকারিক চন্দন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল। আর প্রায় ২০ বছর ধরে চলা সেই মামলার নিষ্পত্তি এবার হল । কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালত তাকে সাত বছরের সাজা ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল। বিচারক শুভেন্দু সাহা এই সাজা ঘোষণা করেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, বহু বছর ধরেই জাল সই করে বিএসএনএলের কর্মচারীদের পিএফের টাকা তুলতেন এই চন্দন। গোপন সূত্রে সেটা জানতে পেরেছিল সিবিআই। ২০০৪-০৫ সাল নাগাদ এই মামলা শুরু হয়েছিল। এর পর প্রায় ২০ বছর ধরে চলে এই মামলা। আদালতে চন্দনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
সই নকল করে সাধারণ কর্মচারীদের পিএফের টাকা একটু একটু করে তুলে আত্মসাৎ করতেন চন্দন। বেশির ভাগ কর্মচারীরাই ওয়াকিবহাল না থাকায় তা টের পেতেন না। পিএফের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে চন্দনকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর পরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ওই আধিকারিকের বিপক্ষে একাধিক তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত প্রায় ২০ বছরের মাথায় মামলার নিষ্পত্তি হয়। বিচারকের নির্দেশ, অপরাধীর ৭ বছরের সাজা ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার। অনাদায়ে আরও দু’মাসের হাজতবাস।